নেটোর সদস্য হল ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন। ফাইল চিত্র।
রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা করে নেটোতে যোগ দিল ইউরোপের দুই দেশ ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন। নেটো প্রধান জেন্স স্টোল্টেনবার্গের হাতে বুধবার আবেদনপত্র তুলে দেন দুই দেশের রাষ্ট্রদূত। এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেন নেটো প্রধান।
তবে নেটো সদস্য তুরস্ক এই যোগদানের বিরোধিতা করেছে। তাদের অভিযোগ প্রতিবেশী এই দুই দেশ তুরস্কের বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিচ্ছে। যদিও নেটো প্রধান বলেছেন, “সদস্য দেশগুলির নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এই কাজ করতে গিয়ে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তবে সেগুলিও সমাধান করতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
নেটোর বহর বাড়ার আত্মবিশ্বাসী স্টোল্টেনবার্গ জানিয়েছেন, নেটোকে আরও মজবুত করতে সব সদস্য দেশই সহমত পোষণ করেছে। তবে তুরস্কের আপত্তির বিষয়টি নিয়ে সদস্য দেশগুলি আশাপ্রকাশ করেছে যে, খুব দ্রুত এই সমস্যাও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
ইউক্রেনের পর পরই যখন ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন নেটোতে যোগদানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল, মস্কো হুমকি দিয়েছিল এর ফল ভুগতে হবে। ইউক্রেনের মতো পরিস্থিতি হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাশিয়ার হুমকিতে তাঁরা ভয় পান না। এমনকি পরমাণু হুমকিতেও নয়।
গত ৯ মে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুমকি দিয়েছিলেন, সদস্য বাড়ানোর কাজ বন্ধ করুক নেটো। এমনকি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই দুই দেশ যদি নেটোতে যোগ দেয়, তা হলে সামরিক এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। তার মধ্যেই ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের আকাশসীমায় রুশ সামরিক বিমান উড়তে দেখা যায়। তার পরই জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি এ বার ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনেও সামরিক অভিযানেকর ছক কষছে রাশিয়া।