বিমান ভেঙে পড়ার সেই দৃশ্য। ছবি সৌজন্য টুইটার।
যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, ইচ্ছা করেই চিনের যাত্রিবাহী বিমানকে দুর্ঘটনায় ফেলা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
গত মার্চে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি কুনমিং থেকে গুয়াংঝৌ যাচ্ছিল। বিমানে ১৩২ জন যাত্রী ছিলেন। ২৯ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে গোত্তা খেয়ে গুয়াংশির পার্বত্য এলাকায় ভেঙে পড়ে। ফ্লাইটরাডার ২৪–এর তথ্য বলছে, ভেঙে পড়ার সময় বিমানে গতি ছিল ১১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এই দুর্ঘটনায় বিমানের সমস্ত যাত্রীর মৃত্যু হয়।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা। কিন্তু তদন্তকারীরা ব্ল্যাক বক্স খতিয়ে দেখার পর দাবি করেন, কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। দুর্ঘটনার দিন পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। কিন্তু কোনও ভাবেই সাড়া পাওয়া যায়নি। বিমান থেকেও কোনও বিপদসঙ্কেত পাঠানো হয়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ককপিট কারও দখলে চলে গিয়েছিল।
বিমান সংস্থা চায়না ইস্টার্ন জানিয়েছে, পাইলট এবং সহকারী পাইলট দু’জনেই সুস্থ ছিলেন এবং তাঁদের পারিবারিক বা আর্থিক কোনও সমস্যা ছিল না। তা হলে কারা দুর্ঘটনায় ফেলল বিমানটিকে, তা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে।