অদ্ভুত-দর্শন মাস্ক। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
করোনার অতিমারি মানুষের জীবন অনেক বদলে দিচ্ছে। যেমন এই প্রস্থেটিক আর্টিস্ট, যিনি ফিল্ম ও টেলিভিশনে কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন তিনি মাস্ক তৈরি করছেন। তবে এই মাস্ক আর পাঁচটা মাস্কের থেকে আলাদা। দামও একটু বেশি, তাই আয়ও বেশি। এই মাস্ক দেখলে আবার ভয়ও পেতে পারেন কেউ কেউ। করোনার সময়ে নিজের প্রতিভাকে অন্য ভাবে কাজে লাগাচ্ছেন ফিলিপিন্সের শিল্পী রেনে অ্যাবেলার্ডো। আর তাতে তাঁর বেশ ভালই আয় হচ্ছে।
রেনে জানিয়েছেন, তিনি মজা করার জন্য প্রথমে একটি এমন মাস্ক তৈরি করে পরেন। তাঁর মেয়ে সেই মাস্কের ছবি তুলে প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোস্ট দেখে কয়েক জন এমন মাস্ক কিনতে আগ্রহী হন। তাঁদের চাহিদা মতো তিনি রাক্ষস, জোম্বির মতো ভয়ঙ্কর বা জোকারের আদলে মাস্ক তৈরি করেন। রেনের এই সব মাস্ক এমন জনপ্রিয় হয়েছে যে, গোটা ফিলিপিন্স থেকে এখন ডজন ডজন অর্ডার আসছে। এই কাজে এখন তিনি তাঁর বন্ধুদের সাহায্য নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ১৪ দিনের শিশুর গলায় আটকে গেল সেফটিপিন, ত্রাতার ভূমিকায় কনস্টেবল
একেকটি মাস্ক তৈরি করতে তিন দিন করে সময় লাগে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রতিটি মাস্কের দাম প্রায় সাড়ে চারশো থেকে সাড়ে সাতশো টাকা। রেনে জানিয়েছেন, করোনার জন্য তিনি কাজ হারিয়েছেন। বাড়িতেই বসে ছিলেন। কিন্তু এখন এই মাস্ক তৈরি করে তাঁর মোটের উপর ভালই আয় হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিমানের কয়েকশো টিকিট কেটে কোটিপতি হয়ে গেলেন মহিলা!
এই মাস্কগুলিতে নাক, মুখ, চোয়াল ঢাকা থাকছে। তবে এই মাস্কের নীচে প্রথাগত কাপড়ের আস্তরণ থাকছে। এগুলি মাস্কগুলি পরলে সহজে কাউকে চেনা দায়। প্রথম যখন এই মাস্ক পরা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রচুর লাইক ও শেয়ার পেতে থাকে সেই পোস্টগুলি।
দেখুন অদ্ভুতদর্শন সেই মাস্ক: