অভিযোগ, মহিলা কর্মীদের যৌনদাসী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রতীকী চিত্র।
বার বার তাঁকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। দিনের পর দিন বন্দিদের দিয়ে ধর্ষণ করানো হয়েছে! ইজরায়েলের এক প্রাক্তন মহিলা কারারক্ষীর অভিযোগে তোলপাড় ইজরায়েল। অবিলম্বে এই অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড।
উত্তর ইজরায়েলের গিলবোয়া জেল। এখানকার সিংহভাগ বন্দিই প্যালেস্তাইনের। ওই জেলেরই এক প্রাক্তন মহিলা কারারক্ষীর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ জেনেবুঝে বার বার তাঁকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। অনলাইনে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছেন ওই মহিলা। সেখানে তিনি লেখেন, “আমাকে যৌনদাসী হিসাবে ব্যবহার করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। বার বার বন্দিদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের ব্যক্তিগত যৌনদাসী করা হয়েছে।”
অভিযোগকারিণীর আইনজীবী কেরেন বারাক আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারেন। কিন্তু তার আগে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার প্রয়োজন।
গিলবোয়া কারাগারে মহিলা রক্ষীরা যে বন্দিদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন, এই অভিযোগে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু এর আগে রক্ষীদের কেউ এমন স্পষ্ট ভাবে অভিযোগ করেননি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ছয় প্যালেস্তাইন বন্দি জেলের সুড়ঙ্গ দিয়ে বাইরে পালায়। এ নিয়ে শোরগোল হয় সে দেশে। এই ঘটনার তদন্তে উঠে আসে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য। সেখানে নাকি পুরুষ রক্ষীরা মহিলা সহকর্মীদের ইচ্ছাকৃত ভাবে বিপদের মুখে ঠেলে দেন।
ওই প্রাক্তন মহিলা কারারক্ষীর অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। রবিবার ইয়াল ল্যাপিড তাঁর মন্ত্রিসভায় বলেন, “এক জন রক্ষী তাঁর কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা ধর্ষিতা হচ্ছেন, এমনটা কল্পনাও করা যায় না।” তাঁর সংযুক্তি, “অবিলম্বে এর তদন্ত শুরু করতে হবে। রক্ষীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব।”