'ভুল পথে হাঁটছি', ট্রাম্পকে বার্তা মার্কিন করোনা টিমের প্রধানের

 হাসপাতালগুলোয় ভিড় বাড়ছে। গত ক’দিন ধরেই এই সতর্কবার্তা ঘুরছে মার্কিন মুলুকে। আজ আমেরিকার করোনা-টিমের প্রধান তথা শীর্ষ এপিডেমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি-ও বললেন, ‘‘এখনই না সামলানো হলে, কিছু প্রদেশে কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২০ ০৪:৪৫
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প

হাসপাতালগুলোয় ভিড় বাড়ছে। গত ক’দিন ধরেই এই সতর্কবার্তা ঘুরছে মার্কিন মুলুকে। আজ আমেরিকার করোনা-টিমের প্রধান তথা শীর্ষ এপিডেমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি-ও বললেন, ‘‘এখনই না সামলানো হলে, কিছু প্রদেশে কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।’’

Advertisement

এই অবস্থার জন্য অফিস-কাছারি খুলে দেওয়াকেই মূলত দায়ী করেছেন ফাউচি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লকডাউন জারি রাখার বিপক্ষে। ফাউচি বরাবরই তাঁর উল্টো সুরে কথা বলেছেন। এ দিনও তিনি বলেন, ‘‘যখন দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে রোগী ভর্তি এত বাড়ছে, সেটা নিশ্চয় বিপদের চিহ্ন। এটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমরা ভুল পথে হাঁটছি।’’

১ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা। আক্রান্ত ২১ লাখেরও বেশি। অন্তত ছ’টি প্রদেশে হাসপাতালগুলিতে শয্যা ফাঁকা নেই। অফিস-ব্যবসা-দোকানপাট খুলে দেওয়ার বিষয়ে সব চেয়ে এগিয়ে ছিল টেক্সাস। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এ দিন বলেন, ‘‘এখনও অফিস খোলাই থাকবে। আমাদের হাসপাতালে অনেক বেড রয়েছে। কেউ অসুস্থ হলেই জায়গা পেয়ে যাবেন।’’ ওরেগনের গভর্নর কেট ব্রাউন জানান, দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে দেখার পরেই ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। উটার রিপাবলিকান গভর্নর গ্যারি হার্বার্টও নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আনলক’ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ থাকবে।

Advertisement

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। চিনের পক্ষ নেওয়া ও তথ্য সঠিক ভাবে না-দেওয়ার অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই পদক্ষেপ করেন। আজ সেই হু জানাল, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অবস্থা সব থেকে খারাপ। সংক্রমণের নিরিখে প্রথম দশে থাকা দেশগুলির তালিকার চারটি-ই এই দুই মহাদেশের। সবাইকে ছাপিয়ে অনেক এগিয়ে আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিল আর এক হটস্পট। ৮ লাখের উপরে সংক্রমণ। মারা গিয়েছেন ৪২ হাজারের কাছাকাছি। রাশিয়া তৃতীয় স্থানেই রয়েছে। পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।

চিনের উহান করোনা-সংক্রমণের উৎসস্থল হলেও রাজধানী বেজিং সে ভাবে আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু সেখানেই এ বার মাংসের বাজারে মিলল ভাইরাস। আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে বেজিংয়ে।

ভ্যাকসিন আবিষ্কার ছাড়া কোনও উপায় দেখতে পাচ্ছেন না কেউ। প্রতিষেধকের সন্ধানে গোটা বিশ্বে অসংখ্য গবেষণা চলছে। আমেরিকার আরও একটি ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা, ‘মডার্না’ তাদের ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে জুলাইয়ে। ইঁদুরের উপরে পরীক্ষায় সাফল্য মিলতেই এই সিদ্ধান্ত। ‘পিএনএএস: দ্য প্রোসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অতিমারির ভরকেন্দ্রগুলিতে লাখো মানুষকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে কেবলমাত্র মাস্ক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement