অস্ট্রেলিয়ার বিষধর সাপ ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক। ফাইল ছবি।
দু’বছরের শিশুকে সাপের ছোবলের হাত থেকে বাঁচালেন বাবা। ফণা তোলা বিষধর সাপের মুখে ঝাঁপিয়ে পড়ে তিনি কন্যার প্রাণ বাঁচিয়েছেন। সাপের ছোবল গিয়ে লেগেছে তাঁর হাতে।
ঘটনাটি অস্ট্রেলিয়ার। অ্যাডিলেডের বাসিন্দা জেক কুম্বে সম্প্রতি কন্যাকে বাঁচিয়ে ‘হিরো’র তকমা পেয়েছেন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের কাহিনি। জেক জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সপরিবার ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। বাড়ি ফেরার পর গ্যারাজের দরজা খোলা আছে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। গিয়ে দেখেন, এক বিষাক্ত ইস্টার্ন ব্রাউন সাপ ফণা তুলে বসে আছে। তার ঠিক মুখোমুখি জেকের ২ বছরের শিশুকন্যা অ্যালবা।
মেয়েকে বাঁচাতে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করেননি জেক। সাপটি ছোবল মারতে না মারতেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়ে মেয়েকে নিজের দিকে টেনে নেন। সাপের ছোবল জেকের হাতে লাগে।
তবে অল্পের জন্য জেক নিজেও রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন। কারণ, তাঁর হাতে সাপের ছোবল তেমন জোরদার ছিল না। এক রাত হাসপাতালে কাটিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
ইস্টার্ন ব্রাউন সাপ গাঢ় সোনালি বর্ণের। এদের দেহ সরু এবং লম্বাটে। মূলত অস্ট্রেলিয়ায় এই সাপের বাস। মাঝেমধ্যেই এই সাপের ছোবলে শিশু কিংবা পশুপাখির মৃত্যুর খবর শোনা যায়। বিশেষত, শিশুদের জন্য ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক অত্যন্ত বিপজ্জনক। উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা না মিললে ছোবলের পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় সাপের ছোবলে যত মৃত্যু হয়, তার ৬০ শতাংশের জন্য দায়ী এই ইস্টার্ন ব্রাউন সাপ।