গ্রেটা থুনবার্গ।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করার জন্য বৃহস্পতিবারই দিল্লি পুলিশ তাঁর ‘টুলকিট’-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। তার কিছু ক্ষণের মধ্যে ফের টুইট করে গ্রেটা থুনবার্গ জানিয়ে দিলেন, তিনি কৃষকদের পাশেই আছেন। যদিও প্রথমে কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, গ্রেটার বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, পরে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেটার বিরুদ্ধে নয়, গ্রেটা যে ‘টুলকিট’ শেযার করেছিলেন তাঁর টুইটে, সেই ‘টুলকিট’-এর নির্মাতা সংস্থার বিরুদ্ধে এফআিআর দায়ের করা হয়েছে।
নতুন এই টুইটে ‘হ্যাশট্যাগ স্ট্যান্ডউইথফার্মার্স’ জুড়ে থুনবার্গ লেখেন, ‘আমি কৃষকদের পাশেই আছি। তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সমর্থন করছি। কোনও বিদ্বেষ, হুমকি বা মানবাধিকার লঙ্ঘন আমার মতকে বদলাতে পারবে না’। টুইটের শেষে লেখেন, ‘#ফার্মারসপ্রোটেস্ট’।
মঙ্গলবার রাতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রথম টুইট করেন থুনবার্গ। তার ঠিক আগে বিষয়টি নিয়ে টুইটে সরব হয়েছিলেন আমেরিকার পপ তারকা রিহানা। তার পর মিয়া খলিফাও টুইট করেন। তাঁদের টুইটের পর ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সাড়া পড়ে যায়। টুইট, পাল্টা টুইট যুদ্ধ চলতে থাকে। রিহানাদের টুইটের বিরুদ্ধে সরব হন ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। বিজেপি সাংসদ অভিযোগ তোলেন, গ্রেটা থুনবার্গের টুইটই প্রমাণ করছে যে, বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে। বুধবার একই কথা বলেছিল বিদেশমন্ত্রক। তারা জানিয়েছিল, এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক স্বার্থান্বেষী কিছু দল বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগানোর চেষ্টা করছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কোনও প্রচারেই ভারতের ঐক্য নষ্ট হওয়ার নয়।” রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল আবার বলেছেন, “ভারতের বর্ধিত ক্ষমতায় ভয় পাচ্ছে আন্তর্জাতিক শক্তি। আমাদের দেশ এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চক্রান্ত করছে সেই শক্তি।”