ছবি: পিটিআই।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামার অধিকার রয়েছে সাধারণ মানুষের। সরকারেরও উচিত আন্দোলন করতে দেওয়া। জানিয়ে দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে এখনও পর্যন্ত সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তাই এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। সেই পরিস্থিতিতে তাঁদের অবস্থানকেই এ বার সমর্থন জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ।
কৃষক আন্দোলনে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে শুক্রবার প্রশ্নের মুখোমুখি হন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্তোনিয়ো গুতারেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের বিষয় নিয়ে আগেও নিজেদের অবস্থান জানিয়েছি। ভারতের প্রসঙ্গেও একই কথা বলব। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার রয়েছে সাধারণ মানুষের। কর্তৃপক্ষের উচিত তা করতে দেওয়া।’’
এর আগে, আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার রক্ষায় কানাডা সব সময় পাশে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে দিল্লি। ট্রুডোর মন্তব্যকে ‘অসতর্ক’ এবং ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব। বিষয়টি নিয়ে ভারতে কানাডার হাইকমিশনারকেও তলব করা হয়। তার পরেও যদিও নিজের মন্তব্য থেকে একচুল সরেননি ট্রুডো।
আরও পড়ুন: বুধবার ফের আলোচনা, কেন্দ্রের কোর্টেই বল ঠেললেন কৃষকরা
আরও পড়ুন: তিনি কৃষক আন্দোলনের পাশেই আছেন, ফের স্পষ্ট জানালেন জাস্টিন ট্রুডো
সেই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপুঞ্জই নয়। ভারতের কৃষক আন্দোলনে হস্তক্ষেপ করতে চেয়ে বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব-কে চিঠি দিয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের ৩৬ জন সদস্য।