প্রতীকী ছবি।
বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রুখতে ফেসবুক কোনও রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না, দীর্ঘ দিন ধরেই এই অভিযোগ উঠছিল। এ ব্যাপারে ফেসবুকের নীতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এই অভিযোগ আরও মাথাচাড়া দেয়। শেষমেশ বৃহস্পতিবার তাদের সোশাল প্ল্যাটফর্মে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের একটা হিসেব প্রকাশ করেছে ফেসবুক।
তৃতীয় ত্রৈমাসিকের যে হিসেব ফেসবুক দিয়েছে সেখানে তারা দাবি করেছে, প্রতি ১০ হাজার কন্টেন্টের মধ্যে ১০-১১টি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রয়েছে। পাশাপাশি তারা দাবি করেছে, এই ত্রৈমাসিকেই ২ কোটি ২১ লক্ষ এই ধরনের কন্টেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তার মধ্যে কোনও কন্টেন্ট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, আবার কোনও কোনও অ্যাকাউন্ট বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।
বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বার বারই ফেসবুকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ফেসবুককে বয়কট করার হুমকিও দেয় তারা। কার্যত চাপে পড়েই শেষমেশ এ ধরনের কন্টেন্টগুলোর সংখ্যা প্রকাশের পথে হাঁটে মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা।
আরও পড়ুন: ৩ মাসেই দেশে মিলবে অক্সফোর্ড টিকা, ১ হাজার টাকার মধ্যে
যে দলগুলি ফেসবুককে বয়কটের জন্য সরব হয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ‘দ্য অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগের বক্তব্য, ‘ফেসবুক যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তা থেকে আসল সংখ্যাটাই জানা যাচ্ছে না যে এমন কত জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে তারা পদক্ষেপ করেছে।’ তাদের অভিযোগ, অনেক ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রয়েছে। যেগুলো চিহ্নিত করার পরেও সরানো হয়নি।
ফেসবুকের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্বে থাকা গাই রসেন জানিয়েছেন, গত ১ মার্চ থেকে ৩ নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ‘ভোটার ইন্টারফেয়ারেন্স’ নীতি ভাঙার জন্য ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম থেকে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার কন্টেন্ট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আরও দাবি, হিংসার ছাপ রয়েছে এমন ১ কোটি ৯২ লক্ষ কন্টেন্ট তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এমন দেড় কোটি কন্টেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।