ইউক্রেনের দিনিপ্রো নদীর উপর ভেঙে যাওয়া বাঁধ। ছবি: স্যাটেলাইট মাধ্যমে ওঠা।
ইউক্রেনে নদীবাঁধ ভেঙে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি আমেরিকার। আরও হাজার হাজার মানুষ বিপন্ন, ঘরছাড়া। এই ঘটনার জন্য রাশিয়ার দিকেই আঙুল তুলেছে পশ্চিমি দুনিয়া। রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। যদিও দায় অস্বীকার করেছে মস্কো।
অন্তত ৪২ হাজার মানুষ বানভাসি হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেন প্রশাসন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও অনুমান। ইউক্রেন সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, সোমবার রাতে (স্থানীয় সময়) খেরসন শহরের দক্ষিণে দিনিপ্রো নদীর উপর বাঁধটি ভাঙে। এর জেরে ৬০ কিলোমিটার দূরের একটি জনপদেও এখন হাঁটু সমান জল। বিপদ এড়াতে জরুরি কাগজপত্রটুকু নিয়ে ঘর ছাড়ছেন অনেকেই। খেরসনের জলমগ্ন এলাকার এক বাসিন্দাকে উদ্ধৃত করকে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বন্যায় তাঁদের গোটা বাড়িটিই ডুবে গিয়েছে। কিছুই উদ্ধার করা যায়নি।
এই ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলি। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানা না গেলেও, জো বাইডেন প্রশাসনের অন্যতম মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, বহু মানুষ জলে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাহায্যকারী দলের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ জানিয়েছেন, এই ঘটনার অভিঘাত ‘ভয়ঙ্কর এবং সুদূরপ্রসারী’ হতে চলেছে।
দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন প্রদেশ এই মুহূর্তে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। খেরসনের রুশ অধিকৃত অঞ্চলগুলি পুনরুদ্ধার করার জন্য সম্প্রতি নতুন করে সেনা তৎপরতা শুরু করেছিল ইউক্রেন। তাদের দাবি, সামরিক প্রত্যাঘাতকে রোখার জন্যই রুশ সেনা ওই কাজ করেছে। যদিও ইউক্রেনের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে রাশিয়া।