আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত আফগান নাগরিকেরা। ছবি: সংগৃহীত।
তালিবান শাসনে প্রবল আর্থিক সঙ্কটে পড়া আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়াল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে আফগানবাসীর জন্য ১২০ কোটি ইউরো (প্রায় ১০,৪৫৩ কোটি টাকা) অর্থসাহায্য ঘোষণা করে হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন মঙ্গলবার এই ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আফগানিস্তানকে মানবিক এবং আর্থ-সামাজিক বিপর্যয় থেকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ।’’
উরসুলা জানিয়েছেন, এই ১২০ কোটি ইউরোর মধ্যে ২৫ কোটি (প্রায় ২,১৭৭ কোটি টাকা) দেওয়া হবে আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রতিবেশী দেশকে, যারা ঘরছাড়া আফগানদের আশ্রয় দিয়েছে। আফগানিস্তানে আর্থিক সঙ্কট নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনা হয়েছে জি-২০-র ভার্চুয়াল বৈঠকেও। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যোগ দিয়েছিলেন।
তালিবানের ক্ষমতা দখলের পরে আন্তর্জাতিক অনুদান কার্যত বন্ধ হয়ে যায় আফগানিস্তানে। তার প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে গরিব এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উপর। চলতি বছরের গোড়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা আন্তর্জাতিক অর্থসাহায্যের উপরে নির্ভরশীল। সংখ্যার হিসেবে প্রায় দু’লক্ষ।
সেপ্টেম্বরে জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে জানানো হয়, আফগানিস্তানের মানবিক বিপর্যয় সামলাতে অন্তত ৬০ কোটি ডলার (প্রায় ৪,৫২৯ কোটি টাকা) আপৎকালী ন অর্থসাহায্য প্রয়োজন। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস সদস্য দেশগুলির কাছে আফগান-অনুদানের আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’ (ডব্লিউএফপি) কর্মসূচি রূপায়ণে ওই অর্থ ব্যবহৃত হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে অর্থসাহায্যের আবেদন জানান রাষ্ট্রপুঞ্জে।