ওবামা
করোনা-সঙ্কট মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে কড়া ভাষায় বিঁধলেন বারাক ওবামা। সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম না-নিয়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘‘দায়িত্বে থাকা অনেকে এমন ভান করছেন যেন তাঁদের কোনও ভূমিকাই নেই!’’
আমেরিকায় এই অতিমারির বাড়াবাড়ির জন্য এই নিয়ে দ্বিতীয় বার প্রশাসনিক প্রধানদের দিকে আঙুল তুললেন ওবামা। গত সপ্তাহে তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘চরম বিশৃঙ্খল বিপর্যয়’ বলে ব্যাখ্যা করেন। এ বার তাঁর তির আরও ঝাঁঝালো। শনিবার অনলাইনে একটি কলেজের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই অতিমারি অন্তত একটি বিষয়ে পর্দাফাঁস করল। প্রশাসনের শীর্ষে থাকা অনেকেই জানেন না, তাঁরা কী করতে চাইছেন, কী করতে হবে। দায়িত্বে রয়েছেন এমন অনেকে তো কাজের ভানটুকুও করছেন না!’’
আমেরিকায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯০ হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্ত বা মৃতদের মধ্যে আফ্রো-আমেরিকানরা সংখ্যায় বেশি। কৃষ্ণাঙ্গদের উপরে অতিমারির অধিক প্রভাব নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, ‘‘ঐতিহাসিক ভাবে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায় এ দেশে যে অসাম্যের শিকার, তাতে আলোকপাত করল এই অতিমারি।’’
আরও পড়ুন: জীবাণুনাশক নিয়ে হু-র সতর্কবার্তা
এ দিকে, ইংল্যান্ডে লকডাউন শিথিল করতে যে বার্তা দিয়েছে সরকার, তার মধ্যে ‘স্বচ্ছতা’র অভাব রয়েছে বলে স্বীকার করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এতে বিরোধীদের তো বটেই, জনসাধারণের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁকে। গত বুধবার ইংল্যান্ডে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা বলেন বরিস। যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারছেন না, তাঁদের কাজে ফেরানোর বার্তা দেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত মানবে না বলে জানিয়ে দেয় স্কটল্যান্ড, নর্দান আয়ারল্যান্ড, ওয়েলসের মতো আধা স্বশাসিত সরকার। বরিসের এই সিদ্ধান্তকে শুরুতেই বিভেদ সৃষ্টিকারী বলে সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরা। রবিবার একটি সংবাদপত্রের সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে, সরকার যে-ভাবে করোনা বিপর্যয় সামলাচ্ছে, তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দেশের ৪২ শতাংশ মানুষের। যা সামাল দিতে ওই সংবাদপত্রে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘আমরা এমন কিছু করতে চাইছি, যা অতীতে করতে হয়নি। আমরা দেশকে সুরক্ষিত রেখে লকডাউন শিথিল করতে চাইছি।’’
চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, গত কাল সে দেশে নতুন পাঁচ জনের করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দু’জন বাইরে থেকে সংক্রমণ নিয়ে এসেছেন এবং তিন জন স্থানীয় ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। এই তিন জনই জিলিন শহরের। স্বাস্থ্য উপদেষ্টারা মনে করছেন, চিনে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের ঝুঁকি এখনও পূর্ণমাত্রায় রয়েছে। তার মধ্যেই সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে তৃতীয় দেশ, স্পেন রবিবার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। লকডাউন চালু হওয়ার পরে এই প্রথম সে দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতের সংখ্যা একশোর কম।
আরও পড়ুন: বেঁচে থাকব ঠিক করে নিয়েছিলাম বলেই বেঁচে আছি’