প্রতীকী ছবি
নেপালের বিতর্কিত নয়া মানচিত্র সে দেশের পার্লামেন্টে পাশ করাতে উদ্যোগী হল কে পি শর্মা ওলি সরকার। আজ এই বিষয়ে সংবিধান সংশোধনী বিল পার্লামেন্টে পেশ করেছে তারা। ওই মানচিত্রে ভারতের লিপুলেখ গিরিপথ, লিম্পিয়াধুরা ও কালাপানিকে নেপালের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ফলে ফের দিল্লি ও কাঠমান্ডুর মধ্যে উত্তাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা কূটনীতিকদের। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকাকে নেপালের অংশ বলে দাবি করে এসেছে কাঠমান্ডু।
সম্প্রতি লিপুলেখ গিরিপথ থেকে কৈলাস-মানস সরোবরে যাওয়ার পথ পর্যন্ত একটি রাস্তার উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তার পরেই প্রতিবাদ জানায় প্রধানমন্ত্রী ওলির সরকার। নতুন মানচিত্র প্রকাশেও উদ্যোগী হয় তারা। নেপালের প্রতিবাদের পিছনে চিনের উস্কানি রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেয় ভারত। তাতে উত্তাপ আরও বাড়ে।
কিন্তু তার পরে সুর কিছুটা নরম করে বিদেশসচিব স্তরে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল ওলি সরকার। তাতে এখনও রাজি হয়নি নরেন্দ্র মোদী সরকার।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই বিষয়ে ওলি সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী নেপালি কংগ্রেসও। ওই দল ঐতিহাসিক ভাবে দিল্লির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ফলে নেপালি পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ওই সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করাতে সমস্যা হবে না ওলি সরকারের।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, নেপালি পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করাতে সাধারণত এক মাস সময় লাগে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ‘দেশবাসীর আবেগের’ কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু প্রক্রিয়া এড়িয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই বিল পাশ করানো হতে পারে।