ছবি: রয়টার্স।
অতিমারি ঠেকাতে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে ব্রিটেনে। সেই পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডে কোয়রান্টিনের মেয়াদ কাটছাঁট করা হল। অতিমারি প্রকোপিত দেশ থেকে ইংল্যান্ডে পা রাখলে ১৫ দিনের কোয়রান্টিন আর বাধ্যতামূলক নয় সেখানে। বরং ৫ দিনের নিভৃতবাসই যথেষ্ট। জানিয়ে দিল সে দেশের সরকার। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই নয়া নিয়ম চালু হচ্ছে।
তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। যেমন, ৫ দিন নিভৃতবাসে কাটিয়ে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। তার রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে, সে ক্ষেত্রে আর বাইরে বেরনোয় নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তবে কোয়রান্টিনে থাকা এবং কোভিড পরীক্ষার খরচ ওই ব্যক্তিকেই বহন করতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় তাতে সব মিলিয়ে খরচ পড়বে ৬ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো।
করোনার প্রকোপে বছরের গোড়া থেকেই বন্দি অবস্থায় দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। লকডাউন উঠে গেলে মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও, বিদেশযাত্রা নিয়ে এখনও ভয় কাটেনি। বিদেশ বিভুঁইয়ে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও, ফিরে এসে ১৪ কোয়রান্টিনে থাকতে হবে শুনে, অনেকেই পিছিয়ে আসছেন। সেই আতঙ্ক কাটাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে আপাতত শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে নাকি গোটা ব্রিটেনের ক্ষেত্রে, তা এখনও পরিষ্কার ভাবে জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: করোনা টিকা স্পুটনিক ভি ৯৫ শতাংশ কার্যকর, দাবি রাশিয়ার
ব্রিটিশ পরিবহণ সচিব বলেন, ‘‘আমরা যে পরিকল্পনা নিয়েছি, তাতে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত হতে পারবেন মানুষ। ভ্রমণ হোক বা কাজের প্রয়োজন অথবা ভিন্ দেশে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে সাক্ষাতে আর বাধা থাকবে না। কোয়রান্টিনের মেয়াদ কমে যাওয়ায় পরিবহণ ক্ষেত্রেও চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আমাদের আশা।’’
দেশ জুড়ে সংক্রমণ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় গত ৮ জুন বিদেশফেরতদের জন্য ব্রিটেনে ১৪ দিনের কোয়রান্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়। শুরু থেকেই সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে পরিবহণ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি। তাঁদের যুক্তি ছিল, ১৪ দিনব্যাপী কোয়রান্টিন শুনে কোনও পর্যটকও ব্রিটেনে আসার সাহস করবেন না, আর দেশের মানুষও বাইরে যাওয়ার কথা মাথায় আনবেন না। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: ফের ৪৩টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, সিংহভাগ চিনা ডেটিং অ্যাপ
সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেশ বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করে বরিস জনসন সরকার। যে সমস্ত দেশে করোনার প্রকোপ তুলনামূলক কম, সেখান থেকে আগত যাত্রীদের জন্য কোয়রান্টিনের মেয়াদ কমানো হয়। কিন্তু শুরুতে যে দেশেগুলিকে তুলনামূলক নিরাপদ বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল, সংক্রমণবৃদ্ধির কারণে পরবর্তী কালে তালিকা থেকে বহু দেশকে বাদও দেওয়া হয়। তাই কোয়রান্টিনের মেয়াদ কমিয়ে ৫ দিন করায় স্বস্তিতে বহু মানুষ।