Engineer Fired

মরণাপন্ন আত্মীয়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে হিন্দিতে কথা বলার ‘অপরাধে’ আমেরিকায় চাকরি খোয়ালেন ইঞ্জিনিয়ার

দীর্ঘ দিন আমেরিকায় চাকরি করা অনিলের কাছে ফোন আসে তাঁর মরণাপন্ন শ্যালকের। প্রায় দু’মিনিট দু’জনে কথা বলেন। ফোন রাখার কিছু ক্ষণের মধ্যে অনিল খবর পান, শ্যালকের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৩ ১৩:১৪
Share:

— প্রতীকী ছবি।

মরণাপন্ন আত্মীয়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে হিন্দিতে কথা বলার ‘অপরাধে’ আমেরিকায় চাকরি গেল ৭৮ বছরের এক ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের। আমেরিকার আলাবামার একটি সংস্থা চাকরি কেড়ে নেওয়ার পর পাল্টা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার অনিল বর্শনি।

Advertisement

২০২২-এর ২৬ সেপ্টেম্বর আলাবামার অফিসে বসে কাজ করছিলেন অনিল। সেই সময় তাঁর মোবাইলে ফোন আসে তাঁর শ্যালক কেসি গুপ্তের। তিনি মৃত্যুশয্যায়। শেষ বার অনিলের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। দু’জনের কথা হয় মাতৃভাষা হিন্দিতে। সেই কথোপকথন কানে যায় এক শ্বেতাঙ্গ সহকর্মীর। তিনিই কর্তৃপক্ষকে এ কথা জানান। তার পরেই চাকরি হারান অনিল।

জানা গিয়েছে, প্রায় দু’মিনিট দু’জনের কথা চলে। এরই মধ্যে এক সহকর্মী অনিলকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি ভিডিয়ো কলে ব্যস্ত? হ্যাঁ বাচক জবাব দেন অনিল। সহকর্মী তখন অনিলকে সাবধান করে দেন, এ ভাবে কথা বলা নিষেধ। সঙ্গে সঙ্গে ফোন রেখে দেন অনিল। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই খবর পান, মৃত্যু হয়েছে শ্যালকের।

Advertisement

মামলার নথিতে অনিলের আইজীবী উল্লেখ করেছেন, অফিসে ফোনে কথা বলা যাবে না, এমন কোনও নিয়ম নেই। যাতে অন্যের অসুবিধা না হয় সে জন্য অনিল একটি ফাঁকা কিউবিকলে গিয়ে কথা বলছিলেন। নথিতে দাবি করা হয়েছে, যে হেতু হিন্দি ভাষার সঙ্গে পরিচিত নন কর্মীরা, তাই তাঁরা হয়তো সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সন্দেহের অবকাশ থাকছে কী করে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

১৯৬৮ সালে অনিল ভারত থেকে আমেরিকায় পা রাখেন। ঘর বাঁধেন হান্টসভিলে। সেখানে থাকাকালীনই তিনি আমেরিকার নাগরিকত্ব পান। তাঁর স্ত্রী শশী ১৯৮৯ সাল থেকে নাসায় কর্মরত। এ হেন অনিল স্রেফ হিন্দিতে মরণাপন্ন আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলার ‘অপরাধে’ চাকরি খোয়ালেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement