—ফাইল চিত্র।
বছর পাঁচেক আগে প্রবাসী পুত্র অভিজিৎ রায়কে জঙ্গিরা প্রকাশ্য রাস্তায় কুপিয়ে খুন করার পর থেকে শরীরে-মনে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। বছরখানেক আগে মারা যান স্ত্রী-ও। ঢাকার হাসপাতালের আইসিসিউ-এ কয়েক দিন ভর্তি থাকার পরে সোমবার মারা গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্য়াপক, মুক্তবুদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের আন্দোলনের পুরোধা অজয় রায় (৮৩)। শেষ ইচ্ছা মেনে তাঁর দেহ বারডেম হাসপাতালে দান করা হয়েছে।
শিক্ষায় বিশেষ আবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান একুশে পদক পেয়েছেন অজয় রায়। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া অজয় সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নানা অভিযানে শামিল হন। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ‘মুক্তমনা’ ব্লগ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গণবিজ্ঞান ও কুসংস্কার-বিরোধী লেখক অজয় রায়, পরে যার দায়িত্ব তুলে নেন ছেলে অভিজিৎ। ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। সেই কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এ দিন বলেন, ‘‘বিচারের বিলম্বের জন্য ছেলের হত্যা মামলার রায় দেখে যেতে পারলেন না অজয় রায়। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।’’
আরও পড়ুন: বিশ্বের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী পেল ফিনল্যান্ড