ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির পরামর্শ মেনে শনিবার নেপালে সংসদ ভেঙে দিলেন প্রেসি়ডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী। নভেম্বরে অন্তর্বর্তী নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
তবে বিরোধী দলগুলি এই ‘অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক’ সিদ্ধান্তের সর্বতো ভাবে বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছে।
নেপালে ২৭৫ সদস্যের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে চার সদস্যের বহিষ্কারের পরে এখন অন্তত ১৩৬ জনের সমর্থন থাকলে তবেই সরকার গড়া যায়। বর্তমানে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ওলি বা বিরোধী নেতা শের বাহাদুর দেউবা কেউই এই মুহূর্তে সেই সমর্থন জোটানোর জায়গায় নেই বলে মনে করেছেন প্রেসিডেন্ট। গত সপ্তাহের শুরুতে একবার আস্থাভোটে পরাজিত হয়েও ওলি পরে সমর্থক সংখ্যা বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্কট কাটেনি।
বৃহস্পতিবার ওলি জানিয়ে দেন, নতুন করে আর কোনও আস্থাভোটে যেতে চান না। শুক্রবার ওলি এবং দেউবা, দু’জনেই আলাদা ভাবে সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে আসেন। কিন্তু দু’জনেরই সমর্থক সংখ্যার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিছু সদস্যের নাম দু’জনের তালিকাতেই রয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। তার পরই কাল মধ্যরাতে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের পরে ওলি প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন। নভেম্বরের ১২ এবং ১৯ তারিখে ভোট গ্রহণের কথাও বলেন। ভান্ডারী সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছেন। গত ডিসেম্বরেও তিনি ওলির পরামর্শে সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন। যদিও ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা পুনর্গঠিত হয়।
নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ বিরোধী দলগুলি ফের এক বার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাই ভাবছে। নেপালি কংগ্রেসের মুখপাত্র বিশ্বপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘মানুষ যখন অতিমারির সঙ্গে লড়ছে, তখন এই কি তাদের জন্য উপহার?’’ নেপালি কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবা, মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড-সহ বিরোধী সব দলই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে এই ‘অসাংবিধানিক’ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে।