মার্কিন বাহিনীকে নিশানা করে হামলা ইরানের। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইরাকে অন্তত ৮০ জন ‘মার্কিন জঙ্গি’র মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করল ইরান। কাসেম সোলেমানির হত্যার বদলা নিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
দেশের সেনাবাহিনী ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি কোর’-এর একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বুধবার সকালে এমনটাই জানিয়েছে সে দেশের সরকারি টিভি চ্যানেল। তাদের দাবি, ইরাকে মার্কিন সেনা ও যৌথ বাহিনীকে নিশানা করে মোট ১৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল তারা, যার মধ্যে একটিকেও প্রতিহত করতে পারেনি মার্কিন বাহিনী। বরং তার আঘাতে অন্তত ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের তারা ‘মার্কিন জঙ্গি’ বলে অভিহিত করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার এবং সামরিক সরঞ্জাম।
মঙ্গলবার মধ্য রাতে ইরাকে মার্কিন সেনা ও যৌথ বাহিনী ব্যবহৃত দু’টি ঘাঁটিকে নিশানা করে ইরান, যার মধ্যে একটি হল আল আসাদে এবং অপরটি হল ইরবিলে। স্থানীয় সময় রাত ১টা বেজে ২০ মিনিটে প্রথম হামলাটি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। গত শুক্রবার ওই একই সময়ে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত্যু হয় ইরানের সেনা জেনারেল কাসেম সোলেমানির। ঠিক ওই সময়েই প্রথম আল আসাদ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ছ’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তার প্রায় দু’ঘণ্টা পর দ্বিতীয় বার হামলা করা হয়। তবে ১৫টি নয়, সবমিলিয়ে ইরান মোট ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে বলে দাবি করেছে ইরাক।
সোলেমনি হত্যার পর প্রকাশ্যে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোলেমানি হত্যার বদলা হিসাবে কোনও মার্কিন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা হলে, আমেরিকা ইরানের আরও ৫২ জায়গা আক্রমণ করার জন্য চিহ্নিত করে রেখেছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এ দিন আমেরিকাকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। সেনাবাহিনীর বিশেষ সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই টিভি চ্যানেলে বলা হয়, ইরাকে আরও ১০০টি জায়গা চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। আমেরিকা প্রতিশোধ নিতে এলেই পাল্টা আঘাত হানবে ইরান।