উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করল লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাস। কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ কোনও ঘটনায় তিনি যাতে নাক না গলাতে পারেন, তাই জন্যই এই ব্যবস্থা বলে দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে।
সুইডেনে যাতে তাঁকে প্রত্যর্পণ না করা হয়, সেই জন্য ২০১২ সাল থেকে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত অ্যাসাঞ্জ। তবে ওই নিগ্রহের অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন ৪৬ বছরের অস্ট্রেলীয়। তাঁর বিরুদ্ধে আপাতত তদন্ত বন্ধও করে দিয়েছে সুইডেন। কিন্তু উইকিলিকস নিয়ে প্রশ্ন করতে আমেরিকা তাঁকে প্রত্যর্পণ করতে পারে, এই আশঙ্কায় ইকুয়েডরের আশ্রয় ছাড়েননি অ্যাসাঞ্জ। গত সোমবার রাশিয়ায় নিযুক্ত প্রাক্তন ব্রিটিশ চর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়ের উপর রাসায়নিক হামলা নিয়ে একটি টুইট করেন অ্যাসাঞ্জ। এই ঘটনায় ব্রিটিশ সরকারের সমালোচনা করে রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার পরই অ্যাসাঞ্জ যাতে আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ব্রিটেনের বিদেশ দফতরের মন্ত্রী অ্যালান ডানকান অ্যাসাঞ্জের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনাও করেছেন।
তবে এটাই প্রথম বার নয়। ২০১৬ সালেও অল্প সময়ের জন্য অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে হিলারি ক্লিন্টন শিবিরের হ্যাক করা ই-মেল প্রকাশ করে দিয়েছিলেন তিনি।