এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মালদহের গাজোলে যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন চার জন। সেই গাড়ির সূত্র ধরেই এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। বাকি এক জনের খোঁজ চলছে।
গাজোলের দেওতলা অঞ্চলে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জঙ্গল এলাকায় শুক্রবার সকালে এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। খোঁজাখুঁজির পর গ্রামবাসীরাই কাটা মুন্ডুটি পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক গজের মধ্যে। মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁরা কেউই মৃত যুবককে চেনেন না। তদন্তে নেমে পুলিশ একের পর এক সূত্র খুঁজে এগোতে থাকে।
শনিবার মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সম্ভব জৈন জানান, দুর্ঘটনার কারণেই মৃত্যু। ঘটনাস্থলে গাড়ির কিছু ভাঙা অংশ পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই খোঁজাখুঁজির পর কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি গাড়ি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। তাতে মেলে রক্তের দাগ। সেই গাড়ির ‘উইন্ডস্ক্রিন’ ভাঙা ছিল। তাতেও লেগেছিল রক্ত। ওই গাড়ির মালিকের সন্ধান করে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তাঁর সূত্রেই গাড়িচালকের খোঁজ পাওয়া যায়।
গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ওই গাড়ি ভাড়া করেছিলেন তিন জন। গাড়ির মধ্যেই মদ্যপান করেন তাঁরা। এমনকি, চালককেও মদ খাওয়ানো হয়। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ দেওতলা এলাকায় এক পথচারীকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তদন্তকারীদের অনুমান, ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে ওই পথচারী গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে এসে পড়েন। তার ফলেই মাথা কেটে যায়। পরে সেই রক্তাক্ত দেহ গাড়ি থেকে বার করে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেন গাড়িচালক এবং আরোহীরা।
তবে ঠিক কী কারণে গলা কাটল, তা স্পষ্ট হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই। জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানা গিয়েছে। মৃতের নাম কেষ্টপদ রায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা। বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবার জানিয়েছে, দিনকয়েক ধরে নিখোঁজ ছিলেন কেষ্টপদ।’’