কাঞ্চন-শ্রীময়ী। ছবি: সংগৃহীত।
২০২৪-এর দীপাবলি স্মরণীয় হয়ে থাকবে কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজের জীবনে। আলোর উৎসবে এক টুকরো আলো তাঁদের ঘরে। কোল আলো করে এল কন্যাসন্তান।
কেমন আছেন নতুন মা আর সদ্যোজাত? আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে কথা বললেন শ্রীময়ী। গলায় ক্লান্তি আর তৃপ্তি মিলেমিশে একাকার। বললেন, ‘‘মেয়ে ভাল আছে। আমিও ভাল আছি। তবে ধকল গিয়েছে একটু। তাই ক্লান্তি রয়েছে।’’ এ-ও জানিয়েছেন, খুশিতে আত্মহারা কাঞ্চন। কালীপুজোর পরেই বাড়িতে কন্যাসন্তান! বিধায়ক-অভিনেতার মতে, দেবীই কন্যা রূপে এসেছেন তাঁর ঘরে। তবে কার মতো দেখতে হয়েছে, এখনই বুঝতে পারছেন না নতুন মা-বাবা। অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘খুব ফুটফুটে দেখতে। বেবিকট আলো করে শুয়ে আছে।’’ শ্রীময়ী জানিয়েছেন, কাঞ্চন তাঁর কন্যার নাম রেখেছেন কৃষভি।
কালীপুজোর দিন কাঞ্চন-শ্রীময়ী যুগলে ভিডিয়োবার্তায় অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানান। তখনই অভিনেত্রীকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু। অনুরাগীদের দাবি, তাঁর গর্ভ স্পষ্ট। বিষয়টি জানতে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তখনও কিচ্ছু জানাননি অভিনেতা দম্পতি।
শ্রীময়ী আরও বলেন, ‘‘কাঞ্চন আমার সঙ্গে ছিল। সারা ক্ষণ পাশে বসে গল্প করেছে। অস্ত্রোপচারে মেয়ের জন্মের পরেই আনন্দে চিৎকার করে ওঠে।’’ খবর পেয়ে দুই পরিবারের সমস্ত সদস্য হাসপাতালে উপস্থিত। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমার মা-বাবা খুব খুশি। বাড়ির ছোট মেয়ে আমি। দিদির বিয়ের ১৮ বছর পর বাড়িতে আবার শিশুর কলরব। ওঁরা আনন্দে কেঁদেই ফেলেছেন।’’
ছেলে বা মেয়ে নিয়ে কোনও ছুতমার্গ ছিল না কাঞ্চন-শ্রীময়ীর। সুস্থ সন্তান পৃথিবীর আলো দেখুক, এটাই প্রার্থনা ছিল তাঁদের। আপাতত দিন পাঁচেক হাসপাতালে থাকতে হবে মা-নবজাতিকাকে। তার পর বাড়ি ফিরবেন তাঁরা।