—প্রতীকী ছবি।
বস্টন শহরতলির প্রকৃতি তার নিজস্ব ম্যাজিক শুরু করে উমার আগমনীর বাঁশিটি বাজলে। না কাশফুল আর শিউলিফুল নয়, আমাদের চারপাশে লাল হলুদ কমলা রঙের আগুন লেগে যায়। সেই রং মিশে গিয়ে রোদ্দুরও পিতলরঙা। এর মধ্যে আমাদের বস্টন চত্বরের বাঙালিরা মেতে উঠেছে আগমনীর প্রস্তুতিতে।
‘বাংলা ও বিশ্ব’ পুজো কমিটি এ বার সাড়ম্বরে পালন করছে তাদের চল্লিশ বছরের পুজো। তাদের থিম ‘সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ।’ ‘নিউ ইংল্যান্ড প্রবাসী’ এই এলাকার সবচেয়ে পুরোনো পুজো। এই পুজোয় তারা নিয়ে আসছে কুমোরটুলি থেকে শিল্পী প্রশান্ত পালের বানানো আমাদের এলাকার সবচেয়ে বড় দুর্গাপ্রতিমা। পুজোর আনন্দকে বেশি দিন ধরে উপভোগ করতে ‘বেঙ্গলিজ় অব নিউ ইংল্যান্ড’ এ বার পুজো করে নিয়েছেন আগের সপ্তাহান্তেই। আমাদের মতো পেটুকদের জন্য এই সংগঠনের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ— এদের স্বেচ্ছাসেবীদের হাতের অপূর্ব রান্না।
পঞ্জিকা মেনে পাঁচ দিন ধরে পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ‘বস্টন দুর্গাবাড়ী’। হেমন্তের হোলিখেলাকে চলচ্চিত্র করে, দেশের মতো প্যান্ডেল বেঁধে, চলবে তাদের পুজো। পাঁচ দিন ধরে ভোগ এবং দর্শনার্থীদের খাবার আয়োজনে কোমর বেঁধে জোগাড় শুরু করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
প্রতিবারের মতো এ বারও এই সমস্ত পুজোমণ্ডপ মেতে উঠবে এখানকার আর দেশ থেকে আসা শিল্পীদের অনুষ্ঠানে। শিকড় থেকে বহু দুরে, আনন্দময়ীর আগমনীতে মেতে উঠেছে আমাদের ভুবন।