—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লন্ডন, ৫ অক্টোবর: প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল বছর দু’য়েক আগেই। অবশেষে এ বছর প্রথম বার দুর্গাপুজো হচ্ছে দক্ষিণ লন্ডনের সাটনে। কুমোরটুলি থেকে আনানো মাতৃপ্রতিমার আরাধনায় থাকছে সেখানকার ২৭টি পরিবার। সাটনেও যাতে বাংলার সর্বজনীন পুজোর অনুভূতি ফুটিয়ে তোলা যায়, সেই উদ্দেশ্যে প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। অনুষ্ঠান-উদ্যাপন চলবে ১০ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।
‘সাটন বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্য এবং এ বারের পুজোর অন্যতম আয়োজক অভীক মাহাতো জানিয়েছেন, ১০ অক্টোবর বোধনের আগে দেবী মূর্তি স্থাপন করা হবে সাটনের সেন্ট হেলিয়ার হল ঘরে। ষষ্ঠী ও সপ্তমী পালন করা হবে ১০ তারিখ। পরের দিন হবে অষ্টমীর পুজো। শনিবার, ১২ তারিখ, নবমী-দশমী মিলিয়ে পালন করা হবে। প্রতিদিন সকাল থেকেই রয়েছে ছোট-বড় নানা বয়সিদের নাচ, গান, আঁকার অনুষ্ঠান-প্রতিযোগিতা। মণ্ডপের ভিতরেই দুপুর এবং রাতের খাবারের আয়োজনও করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী পুজোর উদ্যাপনে বাঙালিদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্রিটিশদের আপ্যায়নেও যাতে কোনও খামতি না থাকে, সে দিকেও নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। আয়োজকদের মতে, সাটনে দুর্গাপুজোর উদ্যাপনে যেমন একাধারে মাতৃআরাধনা করা হবে, ঠিক তেমনই প্রবাসে বসবাসকারী পরবর্তী প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতির বিষয়ে আরও সচেতন করে তোলাও সম্ভব হবে।
বস্তুত, দুর্গাপুজো এই প্রথম করা হলেও এর আগে সরস্বতী পুজো বা নববর্ষের উদ্যাপনের সঙ্গে যে তাঁরা যুক্ত ছিলেন, সে কথাও জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যেরা। এ বছর ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলে হওয়া ওই অনুষ্ঠানগুলিতে শামিল হয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। ছিলেন অন্তত তিনশো জন বাঙালি। এ বারও ওই একই সংখ্যক কিংবা তাঁর বেশিই মানুষ আসতে পারেন বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা।