বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দুবাই। ছবি: রয়টার্স।
মরুঝড় আর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দুবাই। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর বলে পরিচিত দুবাইয়ে মঙ্গলবার থেকেই উড়ান চলাচল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, ঝোড়ো হাওয়ার প্রকোপে উড়ান ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। এই অবস্থায় একের পর এক আন্তর্জাতিক উড়ান হয় বাতিল, নয়তো তার সূচি বদল করতে বাধ্য হচ্ছে বিদেশি উড়ান সংস্থাগুলি।
সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে দুবাইয়ে ঘাঁটি করা এমিরেটসের উড়ান-সূচিতে। দুবাই থেকে বিশ্বের প্রায় সব বড় শহরেই উড়ান রয়েছে তাদের। কলকাতা থেকে সপ্তাহে দশটি উড়ান রয়েছে দুবাইয়ে। বহু যাত্রী এমিরেটসের উড়ানে কলকাতা থেকে দুবাই হয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় যাতায়াত করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ম্যাঞ্চেস্টার বিমানবন্দরে বসে চিকিৎসক শুভজিৎ দত্তরায় বলেন, “দুবাই হয়ে কলকাতায় পৌঁছনোর কথা ছিল বুধবার সকালে। কিন্তু, এখন আমি বুধবার সন্ধ্যায় পৌঁছব। দুবাইয়ে প্রায় দশ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।”
সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে দুবাইয়ের রাস্তা। ঝড়-বৃষ্টির প্রকোপে প্রতিবেশি ওমানে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুবাইয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ-অফিস।
সোমবার ভোরে কাতার এয়ারওয়েজ়ের উড়ানও ব্যাহত হয়েছে। তবে তার পিছনে বৃষ্টি নয়, ইজ়রায়েল লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হানাকেই দায়ী করা হয়েছে। কলকাতা থেকে আমেরিকার ডালাস যাচ্ছিলেন আত্রেয়ী ঘটক। কলকাতা থেকেই তাঁর উড়ান দেরিতে ছাড়ায় দোহায় গিয়ে ডালাসের উড়ান ধরতে পারেননি তিনি। দোহা থেকে ফোনে আত্রেয়ী বলেন, “প্রধানত এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে যাত্রীরা এসে দোহায় আটকে পড়েছেন। সমস্ত উড়ান দেরিতে চলছে।”