ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
ইরানে হামলা চালানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল আমেরিকা। কিন্তু শেষমেশ তা স্থগিত হয়ে যায়। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র অন্তত তেমনটাই জানিয়েছে। তবে কী কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসা হল সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। বৃহস্পতিবার মার্কিন নজরদারি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছিল ইরান। সন্ধ্যায় এক বিবৃতি দিয়ে ইরান দাবি করেছিল, তাদের জলসীমায় ড্রোনটি ঢুকে পড়েছিল। দেশের নিরাপত্তার কারণেই সেটাকে গুলি করে নামানো হয়েছে। যদিও পেন্টাগন ইরানের সেই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করে, তাদের নজরদারি ড্রোন গ্লোবাল হক আন্তর্জাতিক জলসীমার উপরেই ছিল।
ইরানের এই বিবৃতির পরই চরম হুঁশিয়ারি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইট করে তিনি বলেন, ‘খুব বড় ভুল করল ইরান। এর খেসারত ওদের দিতে হবে।’ পাশাপাশি তিনি এটাও দাবি করেন যে, ইরান যতই দাবি করুক ড্রোন তাদের জলসীমায় ছিল, সেটা ঠিক নয়। ড্রোনটি আন্তর্জাতিক জলসীমার উপরই ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেল নিয়ে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার এমনিতেই একটা ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে। তার মধ্যে এই ঘটনা দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলল।
হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ইরানের এই কাণ্ডে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প। তড়িঘড়ি সে দেশে হামলার চালানোরও সিদ্ধান্তও নিয়ে নেন তিনি। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। কূটনীতি না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি হোয়াইট হাউস থেকে। পরবর্তী পদক্ষেপই বা কী করবেন ট্রাম্প সে বিষয়েও স্পষ্ট কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস।
আরও পড়ুন: ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মার্কিন ড্রোন নামাল ইরান
আরও পড়ুন: ভারতীয়দের এইচ-ওয়ানবি ভিসার সুবিধা কাটছাঁট হবে না, জানাল মার্কিন বিদেশ দফতর
দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার আবহ তৈরি হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে আমেরিকার বিমান পরিষেবাতেও। বিশেষ করে ইরানের আকাশসীমা ব্যবহার করে যে সব মার্কিন বিমানগুলো। নিরাপত্তার কারণে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স নেওয়ার্ক থেকে মুম্বইগামী বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ নেওয়ার্ক থেকে মুম্বই আসতে ইরানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে হয়। বিমান সংস্থা সূত্রে খবর, নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।