হ্যারি-মেগানকে বার্তা ট্রাম্পের। —ফাইল চিত্র।
রাজ পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে আসা প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কলের নিরাপত্তার খরচ বহন করবে না মার্কিন সরকার। মঙ্গলবার রাজপরিবারের যাবতীয় কর্তব্য থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন হ্যারি এবং মেগান। ঠিক তার আগেই এমন ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জানুয়ারি মাসেই রাজ পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন হ্যারি এবং মেগান। তার পর থেকে এত দিন কানাডায় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু করোনার প্রকোপে কানাডা-মার্কিন সীমান্ত বন্ধ হওয়ার আগে ছেলে আর্চিকে নিয়ে সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া চলে আসেন হ্যারি-মেগান।
তার পরই রবিবার তাঁদের নিরাপত্তার খরচ নিয়ে মুখ খোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটারে ট্রাম্প লেখেন, ‘‘আমি রানি এবং ব্রিটেনের বন্ধু ও গুণমুগ্ধ। জানা গিয়েছিল, ব্রিটেন ছেড়ে কানাডায় গিয়ে থাকবেন হ্যারি এবং মেগান। এখন আবার কানাডা ছেড়ে আমেরিকায় চলে এসেছেন ওঁরা। কিন্তু আমেরিকা ওঁদের নিরাপত্তার খরচ বহন করবে না। ওঁদের নিজেদেরই তা করতে হবে।’’
ট্রাম্পের টুইট।
আরও পড়ুন: বাতিলই হচ্ছে এ বারের আইপিএল?
তবে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে তাঁরা কোনওরকম সাহায্যই চান না বলে পাল্টা বিবৃতি জারি করেছেন ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স। তাতে বলা হয়েছে, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য মার্কিন সরকারের দ্বারস্থ হওয়ার কোনও অভিপ্রায়ই নেই হ্যারি-মেগানের। বেসরকারি ভাবে অন্য ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন: লকডাউন বাড়ানোর খবর ভুয়ো, জানাল কেন্দ্র
রাজ পরিবারের সদস্য হওয়ার আগে একাধিক বার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরব হন মেগান। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন হ্যারিও। তারই মধ্যে ট্রাম্পের এই টুইট ঘিরে জলঘোলা শুরু হয়েছে। হ্যারি-মেগানের নিরাপত্তার খরচ বহন করা নিয়ে এর আগে কানাডা সরকারও পিছু হটেছিল।