—ফাইল চিত্র।
উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। আর সেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, অ্যাসাঞ্জকে নিজের রাজনৈতিক শত্রু হিসেবে দেখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই লন্ডন থেকে তাঁকে আমেরিকায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে মার্কিন সরকার।
গত কাল লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালতে অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। ৪৯ বছরের উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতার আইনজীবীরা সেখানেই রাজনৈতিক শত্রুতার অভিযোগ এনেছেন। ২০১০-’১১ সালে মার্কিন সরকারের কম্পিউটার হ্যাক করে গোপন নথি প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ রয়েছে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল রজার্সও আদালতে জানিয়েছেন, মার্কিন নির্বাচনের ঠিক আগে এই মামলার শুনানি ফের শুরু করার পিছনেই মার্কিন সরকার তথা প্রেসিডেন্টের মূল অভিসন্ধি বোঝা যাচ্ছে। অধ্যাপক রজার্স আরও জানিয়েছেন, আমেরকিার বিরুদ্ধে এই রাজনৈতিক শত্রুতার তথ্য প্রমাণও রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ট্রাম্পের প্রতি অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক মনোভাবকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এখানে। এটা পুরোপুরি একটা রাজনৈতিক শুনানি।’’
মার্কিন সরকারের আইনজীবী জেমস লুইস অবশ্য সরাসরি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, এই মামলায় আদৌ রাজনৈতিক মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। কাল লুইস আদালতে নিজের বক্তব্য শুরু করতে গেলে অ্যাসাঞ্জ তাঁকে দেখে ‘ননসেন্স’ বলে চিৎকার করে ওঠেন। তার পরেই বিচারক তাঁকে সতর্ক করে জানান, ভবিষ্যতে এমনটা হলে অ্যাসাঞ্জের উপস্থিতি ছাড়াই মামলার শুনানি চলবে।
তবে কাল শুনানি শুরু হলেও করোনা-আতঙ্কে পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে। এই মামলার এক মহিলা আইনজীবীর কোভিড-উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে আজ। রিপোর্ট আসার কথা আগামী কাল। তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই ফের শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। না-হলে নিয়ম মেনে আদালত জীবাণুমুক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।