ব্রিটেনের ছোট রাজপুত্র হ্যারি। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার ভিসা পেতে যদি তিনি মাদক নেওয়া নিয়ে মিথ্যাভাষণ করে থাকেন, তা হলে তাঁকে তার খেসারত দিতে হবে। আমেরিকা ছেড়ে চলে যেতে হবে। ব্রিটেনের রাজকুমার হ্যারি সম্পর্কে এমনই ইঙ্গিত দিলেন প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সামনেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আমেরিকায়। ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেকটাই। তাঁর রাজনৈতিক পরিকল্পনা, ভবিষ্যৎ-ভাবনা নিয়ে ভোটের মুখে একটি সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানেই ওঠে হ্যারি-প্রসঙ্গ। রাজপরিবার ত্যাগ করে বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়াবাসী হ্যারি। আমেরিকায় অভিবাসন পেতে ভিসার আবেদনে মাদক-অতীত রয়েছে কি না, তা জানাতে হয়। অভিযোগ, ভিসার আবেদনে মিথ্যা বলেছিলেন হ্যারি। নিয়মটা এ রকম— আমেরিকার কিছু নির্দিষ্ট ভিসার আবেদনে জানাতে হয়, আবেদনকারী ব্যক্তি অতীতে কখনও মাদক নিয়েছেন কি না। কেউ মাদক নিয়ে থাকলে, তাঁর আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়। এই মাদক-সমস্যার জন্য বহু জনপ্রিয় ব্যক্তি ভিসা পেতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয় গত বছর। ‘স্পেয়ার’ নামে রাজকুমার হ্যারির একটি আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি নিজেই লিখেছিলেন, কখনও কোকেন, কখনও মারিজুয়ানা, ম্যাজিক-মাশরুম, অল্প বয়সে বিবিধ মাদক নিয়েছিলেন তিনি। এর পরই ‘দ্য হেরিটেজ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি আমেরিকান থিঙ্কট্যাঙ্ক হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা করে। তারা হ্যারির অভিবাসন রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চায়। সেই থেকেই রাজকুমার হ্যারির আমেরিকা-বাস চর্চায় রয়েছে।
ট্রাম্প এ দিন বলেছেন, ‘‘আমাদের দেখতে হবে ওরা কিছু জানে কি না। উনি (হ্যারি) যদি মিথ্যা কথা বলে থাকেন, তা হলে ওদের যথাযথ পদক্ষেপ করতেই হবে।’’ তার মানে কি হ্যারি আর আমেরিকায় থাকতে পারবেন না? এই প্রশ্নের মুখে ট্রাম্প বলেন, ‘‘তা জানি না।
আপনারাই বলুন।’’