পর্নতারকার মুখ বন্ধ করতে ঘুষ দেন ট্রাম্প! চলছে তদন্ত। ফাইল চিত্র।
গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি সমাজমাধ্যমে খানিক আগ বাড়িয়েই ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, মঙ্গলবারই তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। এক পর্নতারকাকে মোটা টাকা ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে তদন্ত করছে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্টরমি ড্যানিয়েল নামের ওই পর্নতারকা যাতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ না খোলেন, তার জন্য আইনজীবী মারফত ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার পাঠানো হয়েছিল। ট্রাম্পই ওই টাকা পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ট্রাম্প অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে ম্যানহাটন আদালতকেই কড়া কথা শুনিয়েছেন। ম্যানহাটন আদালতের প্রধান কৌঁসুলির সচিবালয়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট এই সচিবালয় আমায় আটকাতে চাইছে, যাতে আমি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারি।” ২০২০ সালের নির্বাচনে জিততে ট্রাম্প স্লোগান তুলেছিলেন, “মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন।”এ বার তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া চক্রান্তের বিরুদ্ধে সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে ট্রাম্প দেশের গৌরব ফেরানোর ডাক দিয়েছেন। দাবি করেছেন রিপাবলিকান পদপ্রার্থী হিসাবে তিনিই জিতবেন।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ড্যানিয়েলকে এই ঘুষ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, ড্যানিয়েলের সঙ্গে আগে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের। পরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন ড্যানিয়েল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নামার আগে নিজের ভাবমূর্তিতে যাতে ধাক্কা না লাগে, তার জন্যই ট্রাম্প এই পদক্ষেপ করেছিলেন বলে দাবি করেন কেউ কেউ।