Donald Trump

বন্ডের টাকা জোগাড় করতে নাজেহাল ট্রাম্প

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আজ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা গত বছরে গড়ে প্রায় ১.৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাওয়া খুবই উদ্বেগের একটি বিষয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪ ০৮:৫২
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪৬ কোটি ৪০ লক্ষ ডলারের বন্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। কিন্তু কোনও লগ্নি সংস্থাই ট্রাম্পের পিছনে এত টাকা ঢালতে নারাজ। ট্রাম্পের আইনজীবীরা আজ আদালতে এ কথা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ১৮টি লগ্নি সংস্থা তাঁদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, শুধু ট্রাম্পের স্থাবর সম্পত্তির বিনিময়ে এত টাকা দিতে অপারগ তারা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ধনকুবের ট্রাম্পের আর্থিক পরিস্থিতি কি এতটাই শোচনীয় যে তাঁর উপরে ভরসা করতে পারছে না কোনও লগ্নি সংস্থাই?

Advertisement

নিউ ইয়র্কের আদালতে একটি প্রতারণা মামলার রায়ে বিচারপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার জরিমানা করেছিলেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু আইন মোতাবেক, যত দিন না সেই আপিলের ফয়সালা হচ্ছে, জরিমানার অর্থ কোনও লগ্নি সংস্থার বন্ডের মাধ্যমে ট্রাম্পকে আদালতে জমা রাখতে হবে। ট্রাম্পকে করা জরিমানার অর্থমূল্য সুদ সমেত এখন দাঁড়িয়েছে ৪৬ কোটি ৪০ লক্ষ ডলারে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের বন্ড জোগাড় করতে নাজেহাল অবস্থা ট্রাম্পের আইনজীবীদের।

আদালতে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, যে সব সংস্থার কাছে বন্ড চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা, তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ট্রাম্পের স্থাবর সম্পত্তির বিনিময়ে এত টাকার বন্ড তারা দিতে পারবে না। সংস্থাগুলির দাবি, ট্রাম্প নিজে সমমূল্যের অর্থ তাদের দিক। সেই অর্থের বিনিময়ে তারা আদালতে বন্ড জমা দেবে। ট্রাম্পের পাল্টা দাবি, তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বিশাল। ফলে লগ্নি সংস্থাগুলির এই দাবি ভিত্তিহীন। আদালতের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘এই রায় অসাংবিধানিক। আমেরিকার ইতিহাসে কখনও এত বিশাল অর্থমূল্যের বন্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওযা হয়নি। আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত যাব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement