ছবি রয়টার্স।
ভারত ও চিনের জনগণের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে যা কিছু করা সম্ভব, তার সবই করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস সূত্রে ফের জানানো হল এ কথা। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ও কোরানা সংক্রমণের বিষয়ে চিনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত তোপ দেগে চলেছেন ট্রাম্প। বিভিন্ন ভাবে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন তিনি। লাদাখের সংঘাত নিয়েও মধ্যস্থতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদিও তৃতীয় পক্ষকে জড়াতে অনিচ্ছুক ভারত। তা সত্ত্বেও ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা বা সংঘাতের পরিস্থিতিতে আমেরিকাকে শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন ট্রাম্প। বারবার জানাচ্ছেন ভারতকে ভালবাসার কথা।
কোভিড-মোকাবিলায় ব্যর্থতা, পুলিশের কৃষ্ণাঙ্গ নিপীড়নের মতো ঘটনায় ভোটের মুখে চাপে ট্রাম্প। এ বারে তাই সে দেশে থাকা ভারতীয়দের ভোট দরকার তাঁর। সে কারণে হলেও তাঁর মুখে বারবার ভারতকে ভালবাসার বার্তা, কূটনৈতিক ভাবে ইতিবাচক হলে মনে করছে দিল্লি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কেলি ম্যাকেনেনি বৃহস্পতিবার বলেন, “প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ভারত ও চিনের জণগণকে তিনি ভালবাসেন। দু’দেশের শান্তি বজায় রাখার জন্য সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টা চালাতে চান।” আগের দিনই মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো বলেন, “ভারত আমাদের খুব ভাল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তাঁদের বিদেশমন্ত্রীর (এস জয়শঙ্কর) সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। বিভিন্ন বিষয়ে প্রায়ই কথা হয়। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত ও বেজিংয়ের টেলিযোগাযোগ পরিকাঠামোর বিপদ নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে।” জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন আর এক ধাপ এগিয়ে সরসারি বলেছেন, “ভারতের প্রতি চিন খুবই আগ্রাসী ভুমিকা নিচ্ছে। ভারত আমেরিকার খুব ভাল বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তো প্রেসিডেন্টের দারুণ সম্পর্ক।
মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের এমন মন্তব্য ও খাস হোয়াইট হাউসের বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ‘ট্রাম্প ভিকট্রি ইন্ডিয়ান আমেরিকান ফিনান্স কমিটি’-র কো-চেয়ারপার্সন আল ম্যাসন। তাঁর কথায়, “ট্রাম্পের পূর্বসূরি যেটা করেননি, তিনি সেটাই করেছেন— খোলাখুলি সমর্থন করেছেন ভারতকে।