(বাঁ দিকে) কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণের মুখে পড়লেন কমলা হ্যারিস। বুধবার শিকাগোয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চার দিনের জাতীয় কনভেনশনের শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী মনোনীত হন কমলা। ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় কনভেনশনের মঞ্চ থেকে কমলা বলেন, “বন্দিমুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনই সমাধানসূত্র বের করা উচিত।” কমলা বক্তব্য পেশ করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে কমলাকে ‘ইজ়রায়েল-বিরোধী’ বলে কটাক্ষ করেন। লেখেন, “উনি ইজ়রায়েলকে ঘৃণা করেন।”
কমলা অবশ্য নিজের ভাষণে ইজ়রায়েলের নিরাপত্তার অধিকার নিয়েও সরব হন। প্যালেস্টাইনের বাসিন্দাদের খারাপ অবস্থা নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেন তিনি। কমলার কথায়, “কত নিরীহ প্রাণ ঝরে গেল। ক্ষুধার্ত মানুষ মরিয়া হয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালাচ্ছেন। এই সমস্ত দৃশ্য হৃদয়বিদারক।” কমলা এ-ও জানান যে, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যৌথ ভাবে ইজ়রায়েল-হামালা যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
কমলা ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতেই প্রতিদ্বন্দ্বীকে আক্রমণ করেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্প। নিজের ‘ট্রুথ’ সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “গোটা বিশ্বের কাছে আমাদের দেশ হাসির পাত্র হয়ে উঠছে।” আমেরিকার কংগ্রেসে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় কমলা কেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প।