US Presidential Election 2024

পেনসিলভেনিয়ায় ভোটে কারচুপি? ফল ঘোষণার মধ্যেই ট্রাম্পের অভিযোগে উত্তপ্ত আমেরিকার নির্বাচন

আমেরিকার ইতিহাসে পেনসিলভেনিয়ার গুরুত্ব খুবই। তাই এই প্রদেশ দখলের লড়াইয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। ট্রাম্প হোক বা কমলা হ্যারিসের কাছে ‘পাখির চোখ’ পেনসিলভেনিয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৪২
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার। ভোটের খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে এই ‘সুইং স্টেট’। আর সেখানেই নাকি নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে! রিপাবলিকান প্রার্থী তথা আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন অভিযোগ ঘিরে শোরগোল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পেনসিলভেনিয়ার কর্মকর্তারা।

Advertisement

আমেরিকার ইতিহাসে পেনসিলভেনিয়ার গুরুত্ব খুবই। তাই এই প্রদেশ দখলের লড়াইয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। ট্রাম্প হোক বা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস, দু’জনেরই ‘পাখির চোখ’ পেনসিলভেনিয়া। প্রচারের শেষবেলাতেও দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে এই প্রদেশে। সেখানেই ভোটে গরমিল? ২০২০ সালেও একই অভিযোগ তুলেছিলেন ট্রাম্প। সে বার পেনসিলভেনিয়াতে হারের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসাবে ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন ভোট কারচুপির। এ বার যখন আমেরিকার ভোটপ্রক্রিয়া মধ্যগগনে তখন একই অভিযোগ শোনা গেল প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মুখে। যদি সেই প্রদেশের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, ট্রাম্প ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

আমেরিকার রাজনীতিতে ‘সুইং স্টেট’ বা ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেট’ নামে পরিচিত পেনসিলভেনিয়া। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পেনসিলভেনিয়ার মতো সাতটি প্রদেশই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবে। ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত প্রায় তিন দশক ডেমোক্র্যাটদের দখলে ছিল পেনসিলভেনিয়া। কিন্তু ২০১৬ সালে ধাক্কা দেন ট্রাম্প। হিলারি ক্লিনটনের মুখ থেকে পেনসিলভেনিয়া ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২০ সালে নির্বাচনে সেখানেই হারতে হয় ট্রাম্পকে। লাল পতাকা নামিয়ে ডেমোক্র্যাটেরা পেনসিলভেনিয়া উড়িয়েছিলেন নীল পতাকা। সে বার ভোটের ফলাফল অস্বীকার করেছিলেন ট্রাম্প। এ বারও যদি পেনসিলভেনিয়াতে ট্রাম্প হারেন একই কাণ্ড ঘটাতে পারেন বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

Advertisement

২০২৪ সালে যদি পরাজয় ঘটে তা কি মেনে নেবেন ট্রাম্প? মঙ্গলবার সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে আমি প্রথম এটা স্বীকার করব।’’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্প মুখে যাই বলুক না কেন, পরাজয় যদি ঘটে তবে সহজে মানতে পারবেন না তিনি। উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত আমেরিকার নির্বাচনে কমলাকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, রিপাবলিকানরা এগিয়ে আছেন ১০১টি আসনে। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা ৭১ আসনে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement