(বাঁ দিকে) জিমি কার্টার এবং বারাক ওবামা (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ভোট চলছে আমেরিকায়। হোয়াইট হাউসের দখল কে নেবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। লড়াইয়ে রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটের কমলা হ্যারিস। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর। তবে তাঁদের লড়াইয়ে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা কে কী করছেন, তা নিয়েও উৎসাহ রয়েছে অনেকের।
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে জীবিত আছেন চার জন। তাঁদের মধ্য জিমি কার্টার সম্প্রতিই শতবর্ষে পা দিয়েছেন। আর ঠিক ১৫ দিন পরেই ভোট দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। সপ্তাহ তিন আগেই ভোটবাক্সে নিজের মত জানিয়েছেন শতায়ু কার্টার। তবে কাকে ভোট দিয়েছেন জানা না গেলেও প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে কমলাকেই সমর্থন করছেন তা স্পষ্ট করেছিলেন তিনি। ভোটযুদ্ধ শুরুর আগে কার্টার নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন, কমলাকে হোয়াইট হাউসে দেখতে চান। সে কারণেই বেঁচে আছেন। ১৯৭৭ সালে নির্বাচনে জিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন কার্টার। ১৯৮১ সালে হোয়াইট হাউস ছাড়েন। তবে তার পরও আমেরিকা এবং বিশ্ব রাজনীতির খবরাখবর রাখেন।
কমলাকে সমর্থন জানিয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে আমেরিকার আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে। বিভিন্ন জায়গায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার সেরেছেন। শুধু তিনি একা নন, তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামাও কমলাকে বন্ধু বলে সম্বোধন করে পাশে থেকেছেন। শুধু প্রচারসভা নয়, সমাজমাধ্যমেও প্রায় সব সময় সক্রিয় থেকেছেন বারাক এবং মিশেল। ভোটের দিনও প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে দেখা গেল সমাজমাধ্যমে সক্রিয়। আমেরিকার ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে ভিডিয়োবার্তা পোস্ট করেন ওবামা। তিনি এ-ও জানান, বেশ কয়েকটি প্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এক-দু’টো ভোটই পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে। তাই সকলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ওবামা। পাশাপাশি কমলাকে সমর্থন জানিয়েও বার্তা দিয়েছেন তিনি।
ওবামার মতো তেমন প্রচার করতে দেখা যায়নি আমেরিকার আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে। তবে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ক্লিনটন মুখ খুলেছেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগেই সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লিনটন জানান, ট্রাম্প যদি আবার প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন, তবে তা ‘প্রতারণা’ হবে। আমেরিকার অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তবে ভোটের দিন তিনি কী করছেন, ভোটদান করলেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। ওবামা দম্পতিরও ভোটদানের ব্যাপার কোনও খবর মেলেনি। যদিও জীবিত আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ নিজেকে নির্বাচন থেকে দূরেই রেখেছেন! গোটা নির্বাচন পর্বে তাঁকে তেমন ভাবে প্রচারের আলোয় দেখা যায়নি।