ছবি :এপি।
ডাউনিং স্ট্রিটে যে-ই আসুন না কেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধা হবে না বলে মঙ্গলবার জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বছর ৭০ বছর পূর্তি ন্যাটোর। আজ এবং আগামিকাল লন্ডনে চলবে ন্যাটোর শীর্ষ বৈঠক। আসার কথা জার্মানি, ফ্রান্স, আমেরিকা-সহ ৭০টি সদস্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা। সেই উপলক্ষে গত কাল রাতে লন্ডনে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আজ ব্রিটেনে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোল্টেনবার্গের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাম্প। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকেরাও। আর ন’দিন বাদেই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। এ দিনের প্রাতরাশ বৈঠকে আলোচনা হয় সেই আসন্ন ভোট নিয়েই।
তিনি যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে খুবই পছন্দ করেন, তা অনেক দিন ধরেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এবং ট্রাম্পের এই বরিস-প্রীতিকে ভোট-যুদ্ধে কাজে লাগিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা। ট্রাম্পের সঙ্গে সখ্যের জেরে বরিস ব্রিটেনের স্বার্থ ভুলতে বসেছেন, জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস) আমেরিকার কাছে ‘বিক্রি’ করে দিতে প্রস্তুত প্রধানমন্ত্রী, এ রকম একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছেন কনজ়ারভেটিভ নেতা। তাই নির্বাচনের মুখে ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নিতে ট্রাম্প লন্ডনে আসায় যথেষ্ট আতঙ্কে ছিল কনজ়ারভেটিভ দল। ১০, ডাউনিং স্ট্রিট সূত্রের খবর, ট্রাম্প কখন কী বেঁফাস বলে ফেলেন, সেই আতঙ্কে ভুগছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও!
তবে আজ বিতর্কিত ও বিস্ফোরক মন্তব্যের চেনা পথে হাঁটেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জেরেমি করবিন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে ব্রিটেন-মার্কিন সম্পর্কের কী হবে, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘‘১০, ডাউনিং স্ট্রিটে যে-ই আসুন না কেন, আমাদের কাজ করতে কোনও অসুবিধে হবে না। ব্রিটেনের নির্বাচনের ফলাফল দু’দেশের সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’’ প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘‘আমি এই নির্বাচনে নাক গলিয়ে বিষয়টিকে আরও জটিল করে দিতে চাই না।’’
এনএইচএসের বেসরকারিকরণ হলে আমেরিকা তাতে বিনিয়োগ করবে কি না প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মধ্যে এনএইচএসকে ভাবা হচ্ছে না।’’ আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সত্যি বলতে কী, এনএইচএস নিয়ে আমি কখনওই কিছু ভাবেনি।’’ যদিও কিছু দিন আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, বাণিজ্য চুক্তির মধ্যে এনএইচএসকে নিয়ে আসার কথা ভাবছে আমেরিকা।
তবে বরিসের প্রশংসা করার সুযোগ ছাড়েননি ট্রাম্প। বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী জনসন খুবই দক্ষ। ওঁর উপর পুরোপুরি ভরসা করা যায়।’’ আগেও বহু বার বলেছিলেন, আজ ট্রাম্প ফের জানিয়ে দেন, তিনি ব্রেক্সিটের সমর্থক। এ যাত্রা অবশ্য বরিসের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কোনও বৈঠক হওয়ার কথা নেই।