বাণিজ্যের চিন্তাতেই কি সিএএ-ভোট পিছোল ইইউ

সম্মেলনের আগে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করাটা ইইউ-এর পক্ষে লাভজনক নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:৫১
Share:

ফাইল চিত্র।

ব্রেক্সিট পরবর্তী অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতের বিপুল সম্ভাবনাময় বাজারকে পাখির চোখ করতে চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। মার্চ মাসে ব্রাসেলসে ভারতের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পঞ্চদশ সম্মেলন। কূটনীতিকদের মতে, সম্মেলনের আগে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করাটা ইইউ-এর পক্ষে লাভজনক নয়। তাই মূলত এই বাণিজ্যিক স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই গত কাল ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের একাংশের পেশ করা নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি পিছিয়ে দেওয়া হল।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য বিষয়টিকে তাদের কূটনৈতিক জয় হিসেবেই তুলে ধরেছে। এটা ঘটনা যে, গত এক সপ্তাহ ধরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটির পর একটি গোষ্ঠী তীব্র ভাষায় ভারতের এই আইনের সমালোচনা করে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে। সেই কাজে অন্যতম ভূমিকা ছিল ইইউ-এর ব্রিটিশ সদস্য, জন্মসূত্রে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের শাফাক মহম্মদের। নাগরিকত্ব আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ এবং ‘বিভেদকামী’ হিসেবে তুলে ধরে অবিলম্বে এটি ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি ছিল ওই প্রস্তাবগুলিতে। পাশাপাশি যে ভাবে ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলন’-কে দমন করা হচ্ছে, তাকেও ‘নির্মম’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল খসড়া প্রস্তাবে।

কিন্তু ভারতের সঙ্গে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসার আগে এই প্রস্তাবের কারণে তিক্ততা যাতে কোনও ভাবে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানে না পড়ে, সে দিকে নজর রেখেছিল ইইউ। বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকে সক্রিয় ছিল ইইউ-র অন্যতম প্রধান সদস্য ফ্রান্সও। ইইউ সূত্রে বলা হচ্ছে, ‘‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ এবং বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে ভারত আমাদের প্রধান অংশীদার। তা ছাড়া এটাও মনে রাখতে হবে, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং তার কিছু গোষ্ঠী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকারি অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করে না।’’

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার আজ বলেছেন, ‘‘ব্রাসেলসের ঘটনাবলির দিকে আমরা নজর রেখেছি। আগেই বলেছি নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। গণতান্ত্রিক ভাবেই তা প্রণয়ন করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের কৌশলগত মিত্র। তারা নিজেরাই জানিয়েছে যে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কিছু গোষ্ঠীর মতামত, ইইউ-এর সরকারি অবস্থান নয়। তবে এর পরেও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের কোনও জিজ্ঞাস্য থাকলে আমরা তা ব্যাখ্যা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement