বিক্ষোভে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত।
এ বার বাংলাদেশে চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ডাক দিলেন। গোটা দেশের সব সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকেরা কোনও পরিষেবা দেওয়া হবে না জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে চিকিৎসকেরা আন্দোলন শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি মানা না পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তি রোগীদেরই চিকিৎসা করা হবে। বাকি পরিষেবা আপাতত বন্ধ থাকবে।
এক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। আহসাসানুল ইসলাম নামে এক কলেজ পড়ুয়া পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। আহসাসানুলের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। পড়ুয়া মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এমনকি, হাসপাতালের চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়াদের ঘেরাও করে রাখেন মৃতের আত্মীয়স্বজন এবং কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা পরিস্থিতি ছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। চিকিৎসককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারেরা। পরে সেই বিক্ষোভে শামিল হন অন্যান্য চিকিৎসকেরাও। প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেন তাঁরা। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুল আহাদ ‘প্রথম আলো’কে জানান, চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব চিকিৎসক কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এই কর্মবিরতি শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সীমাবদ্ধ নেই। সারা দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাতেই প্রভাব পড়েছে। নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছেন চিকিৎসকেরা।