গুজরাতের বহু এলাকা এখনও প্লাবিত। ছবি: পিটিআই।
বন্যা পরিস্থিতিতে এমনিতেই নাজেহাল গুজরাতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তার উপর দোসর হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আসনা। ফলে বন্যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোরতর করে তোলে। ঘূর্ণিঝড় চলে গেলেও তার প্রভাবে গত দু’দিন ধরে বৃষ্টিতে বেশ কিছু এলাকায় জলস্তর আবার নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এখানেই আশঙ্কা কাটেনি। বরং সেই আশঙ্কা আরও বেড়েছে সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায়। তার মধ্যে রয়েছে বরোদাও। ২-৪ সেপ্টেম্বররে মধ্যে বরোদায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। ফলে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটময় হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিন বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন প্লাবিত এলাকায় জলস্তর বেড়েছে। তার মধ্যে বিশ্বামিত্রি নদীবাঁধ আজওয়া থেকে জল ছাড়ার ফলে বরোদা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার জলস্তর ৬-৮ ফুট বেড়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, বরোদার পাশাপাশি বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে আমদাবাদ-সহ সৌরাষ্ট্রের চার জেলায়। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ এবং মধ্য গুজরাতে। রাজ্যের মোট ১২টি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মৌসম ভবন। বন্যা পরিস্থিতির জেরে গুজরাতে এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।