আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন মুলুকের হিউস্টনে এক সভার আয়োজন করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনরা। সেখানে যোগ দেবেন মোদী। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ট্রাম্পকেও। এই জনসভার নামই দেওয়া হয়েছে ‘হাউডি মোদী’।
ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হবে এই জনসভা। চলবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এই সভায় মার্কিন প্রেসিডেন্টেরও যোগ দেওয়ার কথা।
প্রথমে অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের যোগদান নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। তবে পরে বিবৃতি জারি করে হোয়াইট হাউস জানিয়ে দেয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট মোদীর সভায় আসবেন।
হিউস্টনের ওই সভায় ৫০ হাজারেরও বেশি ভারতীয়-মার্কিনরা থাকবেন। তার জন্য টেক্সাসের এনআরজি স্টেডিয়ামে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে।
১০০০ ভলান্টিয়ার এবং ৬৫০ পার্টনার সংস্থা থাকছে এই সভার। ইন্দো-মার্কিন কমিউনিটির সামনে এই নিয়ে তৃতীয় বার মোদী বক্তৃতা দেবেন।
মোদীর এই সভা ঘিরে উত্তেজনা এতটাই যে, প্রথম দুই সপ্তাহেই ৩৯,০০০ মানুষ রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েছেন। যাঁদের অনেকেই আগামী মার্কিন নির্বাচনের ভোটার। রেজিস্ট্রেশন এখনও চলছে।
কিন্তু ‘হাউডি মোদী’ কেন? ইংরাজিতে হাউডি মানে হাও ডু ইউ ডু? একেই সংক্ষেপে বলা হয় হাউডি। দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকার প্রচলিত কথা। মোদীকে স্বাগত জানাতে তাঁর জনসভাকে তাই সংক্ষেপে ‘হাউডি মোদী’ বলা হচ্ছে।
দুই নেতার সাক্ষাত্ ভারত ও আমেরিকার মানুষের মধ্যে একটা মজবুত বন্ধন গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, দু’দেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককেও অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে।
গত সাত দশক ধরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনরা কী ভাবে আমেরিকার সমৃদ্ধিতে এবং দু’দেশের সম্পর্ককে মজবুত করতে সাহায্য করেছে মূলত সেই বিষয়টিই তুলে ধরা হবে ‘হাউডি মোদী’তে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভারত-আমেরিকার সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে তাই এই মঞ্চকেই বেছে নিতে চাইছেন মোদী। দুই-দেশের পক্ষেই তা লাভজনক হবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।