ইলন মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পরে নানা সমস্যায় সংস্থার কর্মচারীরা। ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি টুইটারের মালিকানা বদল হয়েছে। অভিযোগ, ইলন মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পরে নানা সমস্যায় সংস্থার কর্মচারীরা। এ বার ইলনের সংস্থায় লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ উঠল। কানাডার ব্লগার লরেন চেন এই অভিযোগে সরব হয়ে টুইটারেই একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি ইলন দায়িত্ব নেওয়ার আগে ও পরের টুইটার দফতরের দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘‘টুইটার, ইলন মাস্কের আগে ও পরে।’’
লরেন দু’টি ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, ইলন দায়িত্ব নেওয়ার আগের তুলনায় পরে টুইটারে মহিলা কর্মীর সংখ্যা কমেছে। রবিবার তিনি ওই ছবি পোস্ট করেন। লরেনের পোস্ট করা দ্বিতীয় ছবিতে দেখা গিয়েছে, টুইটারে মহিলাকর্মীর সংখ্যা অনেকটাই কম।
প্রসঙ্গত, ইলন টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর সংস্থা থেকে বহু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ইলনের ‘চরম হুঁশিয়ারি’র পর কিছু কর্মচারী নির্ধারিত সময়ের আগেই পদ্যত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। লরেন যে দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন, তার মধ্যে দ্বিতীয়টি ইলন নিজেও পোস্ট করেন টুইটারে। শনিবার সেই ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘জাস্ট লিভিং টুইটার এইচকিউ কোড রিভিউ’। ইলনের সেই পোস্টগুলি ইতিমধ্যেই ভাইরাল। ওই ছবি দেখে সমাজমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, টুইটারে কি মহিলাকর্মীর সংখ্যা কমে গিয়েছে? এমনকি, জাতীয়তা, রং এবং সাম্যের বৈষম্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
অনেকেই ইলনের পোস্ট করা ওই ছবি দেখে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলেনা করেছেন। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ইলন আরও কিছু কর্মীকে বরখাস্ত করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন।