(বাঁ দিকে) কমলা হ্যারিস, ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)।
আমেরিকার রাজনীতিতে তারা ‘সুইং স্টেট’ বা ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেট’ নামে পরিচিত। সেই আটটি প্রদেশ শেষ পর্যন্ত বুধবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। প্রচারের শেষ বেলায় রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প বা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসও বিশেষ নজর দিলেন ওই প্রদেশগুলিতে।
পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, জর্জিয়া, অ্যারিজ়োনা, ফ্লরিডা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং নেভাদা এ বার প্রেসিডেন্ট ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভামিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘উইনার টেকস ইট অল’ নীতির কারণে এই আটটি প্রদেশের ভূমিকা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্ণায়ক হতে পারে। আমেরিকায় সাধারণ ভাবে কিছু প্রদেশ সচরাচর ডেমোক্র্যাটদের, কিছু রিপাবলিকানদের সমর্থন করে। কয়েকটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের ধরাবাঁধা হিসাব চলে না। তারা কখনও ডেমোক্র্যাট, কখনও রিপাবলিকানদের বেছে নেয়। এগুলোই সুইং স্টেট।
প্রচারের শেষবেলায় ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং জর্জিয়ার ভোটারদের মুখোমুখি হয়েছেন। অন্য দিকে, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা গিয়েছিলেন মিশিগানে। সবগুলিই ‘সুইং স্টেট’ হিসাবে পরিচিত। পেনসিলভানিয়ায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আবেদন, আমেরিকার ভোটদাতারা যেন নতুন স্বর্ণযুগ আনার জন্য তাঁকে আর এক বার সুযোগ দেন। অন্য দিকে, মিশিগানে কৃষ্ণাঙ্গদের চার্চে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা বলেছেন, ‘‘এই নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যতের জন্য জরুরি। সেই কাজ করতে হবে।’’