ডুবোযান টাইটান। ছবি: রয়টার্স।
অতলান্তিকের গর্ভে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ ডুবোযান টাইটানের সওয়ারিদের বাঁচার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে। টাইটানিকের কাছে একটি ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেল। বৃহস্পতিবার এ কথা জানাল আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী। তবে ওই ধ্বংসাবশেষ টাইটানের কি না, বা টাইটানে যে পাঁচ অভিযাত্রী ছিলেন, তাঁদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
টাইটানিককে ঘিরে কৌতূহলের সীমা নেই। ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতে হিমশৈলে ধাক্কা মেরে উত্তর অতলান্তিকে ডুবে যায় সে সময়ের অন্যতম বিলাসবহুল যাত্রিবাহী জাহাজ টাইটানিক। মৃত্যু হয় ১৫০০-র বেশি মানুষের। এই জাহাজ নিয়ে হলিউডে তৈরি হয়েছিল বিখ্যাত ছবি ‘টাইটানিক’। জাহাজডুবির পর পেরিয়ে গিয়েছে ১১১ বছর। অতলান্তিক মহাসাগরের প্রায় সাড়ে চার হাজার মিটার নীচে এখনও রয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। অতলান্তিকের গভীরে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে, অভিযাত্রীদের সেই জায়গা ঘুরে দেখায় টাইটান। ওশানগেট সংস্থার তৈরি ওই ডুবোযান গত রবিবার পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে সমুদ্রের গভীরে নেমেছিল। যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর থেকে আর খোঁজ নেই টাইটানের। তার পর থেকেই টাইটানের খোঁজ শুরু করা হয়।
টাইটানের খোঁজে উদ্ধারের কাজে নেমেছে আমেরিকা এবং কানাডার সেনা। উপকূলরক্ষী এবং বিমানবাহিনীর সঙ্গে তল্লাশিতে নেমেছে রোবটও। টাইটানিকের কাছে যে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে, তার হদিস দিয়েছে রোবটই। টাইটানের খোঁজে বৃহস্পতিবার আরও দু’টি রোবট নামানো হয়েছিল।