মস্কোয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযান। ছবি: রয়টার্স।
মৃত্যুর বদলা মৃত্যুতেই হোক, বৃহস্পতিবার কনসার্ট হলে জঙ্গি হামলার পরই আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে রাশিয়ায়। এই হামলায় এখনও পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪০ জনেরও বেশি। ইতিমধ্যেই এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি সংগঠন।
শুক্রবার রাতে মস্কোর ওই হামলার ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। যে ভাবে নির্বিচারে সাধারণ এবং নিরীহ মানুষের উপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে, সেই ভয়াবহতাকে ছাপিয়ে এখন ক্ষোভের আঁচ ছড়াচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে। জঙ্গিরা যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাতেই তাদের জবাব দেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে রাশিয়ায়। নির্দয় ভাবে জঙ্গিদের জবাব দেওয়ার আওয়াজ উঠছে আমজনতার মধ্যে।
এই হামলার নিন্দা করেছেন রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তাঁর হুঁশিয়ারি, যে ভাবে কনসার্ট হলে জঙ্গিরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, ঠিক সেই ভাবেই যেন কোনও বাছবিচার না করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরটি-কে মেদভেদেভ বলেন, “জঙ্গিদের ভাষাতেই ওদের জবাব দেওয়া উচিত। যদি শক্তির বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ না করা হয়, যদি জঙ্গিদের খতম না করা হয়, তাদের পরিবারগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হয়, তা হলে তদন্ত বা বিচার করে কোনও লাভ নেই। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াই করার এটাই একমাত্র পথ।”
অনেকে মেদভেদেভের এই মন্তব্যের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ১৯৯৯-এর একটি মন্তব্যের হুবহু নিল খুঁজে পাচ্ছেন। সেই সময় পুতিন ছিলেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। উত্তর ককেশাসে তখন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল রাশিয়া। সেই সময় পুতিন বলেছিলেন, “জঙ্গিদের যদি শৌচালয়েও দেখতে পাওয়া যায়, ওখানেই ওদের খতম করো। খুঁজে খুঁজে বার করে ওদের শেষ করো।” যদিও ২০১১ সালে নিজের এই মন্তব্যের সপক্ষে পুতিন দাবি করেছিলেন যে, ১৯৯৯ সালে তাঁর মন্তব্যে অনেকে আঘাত পেতে পারেন ঠিকই, কিন্তু এই মন্তব্যের নেপথ্যে যে কতটা গভীর ব্যথা রয়েছে, তা-ও বোঝা উচিত।