ব্রিটেন থেকে দূষিত এবং বিপজ্জনক বর্জ্য ২০১৭ এবং ২০১৮ সালের মধ্যে ভারত এবং দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছিল বলে শ্রীলঙ্কার এক তদন্তে জানা গিয়েছে। সে দেশের অর্থমন্ত্রী মঙ্গলা সমরবীরা গতকাল পার্লামেন্টে এ তথ্য দিয়ে জানান, ওই বর্জ্যের মধ্যে মর্গের বর্জ্য এবং প্রচুর প্লাস্টিক ছিল বলে শুল্ক দফতরের তদন্তে জানা গিয়েছে।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিপজ্জনক বর্জ্য পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘিরে বিতর্ক বহু দিনের। সাম্প্রতিক এই তদন্তে ধরা পড়েছে, শ্রীলঙ্কার একটি সংস্থা ব্রিটেন থেকে বেআইনি ভাবে ২৪১টি কন্টেনার আমদানি করেছিল, সেগুলির মধ্যে ১৫টিকে ভারত এবং দুবাইয়ে পাঠানো হয়। ওই কন্টেনারে ছিল ৩ হাজার টন বিপজ্জনক বর্জ্য। ১৮০ টন পাঠানো হয়েছিল ভারত এবং দুবাইয়ে।
শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্রিটেনকে তারা জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কা সরকার ওই বর্জ্য নিতে রাজি কি না, তা নিয়ে আলোচনা না করেই কীভাবে তা পাঠানো হল। মন্ত্রীর কথায়, ১৩০টি কন্টেনার কলম্বোর কাছে একটি ‘নো ট্রেড জোন’-এ নিয়ে গিয়ে খালি করা হয়েছে, যার ফলে বায়ু এবং জল দূষণ ঘটেছে। বাকি বর্জ্য অবিলম্বে ব্রিটেনে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই সব কন্টেনারে ব্যবহৃত ম্যাট্রেস রয়েছে বলে মিথ্যে দাবি করা হয়েছিল। পরে দেখা যায়, মেডিক্যাল এবং অন্য বর্জ্য রয়েছে। আমদানিকারী সংস্থাটির দাবি, ‘নো ট্রেড জোন’-এর একটি সংস্থাই ব্যবহৃত ম্যাট্রেস পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার কাজ করে। ফলে কন্টেনারে সেগুলিই ছিল, মেডিক্যাল বর্জ্য নয়।
সপ্তাহ দু’য়েক আগেই ইন্দোনেশিয়া ঘোষণা করেছিল যে তারা ২১০ টন বর্জ্য অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত পাঠাচ্ছে। আর কানাডা জানিয়েছিল, ফিলিপিন্সে পাঠানো বর্জ্য ভর্তি ৬৯টি কন্টেনার তারা ফেরত নেবে।