CPEC

CPEC: চিন একাই লাভের গুড় খাচ্ছে! অর্থনৈতিক করিডর ঘিরে হতাশা বাড়ছে পাকিস্তানে

২০১৫ সালে সড়ক প্রকল্প চালুর সময় বেজিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এর ফলে পাকিস্তানের বার্ষিক আর্থিক বৃদ্ধি অন্তত আড়াই শতাংশ হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২২ ১০:৫৪
Share:

চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর। ফাইল চিত্র।

ছ’বছর আগেই সতর্কবাণী শুনিয়েছিল পশ্চিমী দুনিয়া। এ বার সত্যিটা উপলব্ধি করছে পাকিস্তানের আমজনতা। আর তার ফলে ক্রমশ মাথা চাড়া দিচ্ছে চিন বিরোধী বিক্ষোভ। কারণ, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পকে হাতিয়ার করে এক তরফা লাভ করছে চিন। ক্ষতির মুখে পড়ছে পাকিস্তানের ব্যবসায়িক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি। এই পরিস্থিতিতে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে পাক ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ২০১৫ সালে সড়ক প্রকল্প চালুর সময় বেজিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এর ফলে পাকিস্তানের বার্ষিক আর্থিক বৃদ্ধি অন্তত আড়াই শতাংশ হবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং জ্বালানির জোগানও স্থিতিশীল হবে কিন্তু সেই পূর্বাভাস মেলার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। বরং ছ’বছরে ক্রমশ দুর্বল হয়েছে পাক অর্থনীতি।

Advertisement

সে সময় আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি জানিয়েছিল, সিপিইসি-র লাভের গুড় পুরোটাই চিনের ঘরে যাবে। বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, গত ছ’বছরে সেটাই ঘটে চলেছে। চিন তাদের উৎপাদিত পণ্য এই সড়ক পথে রফতানি করছে পাকিস্তানে। আর তার ফলে মার খাচ্ছে পাক উৎপাদন ক্ষেত্র। পাশাপাশি, পাকিস্তানের ক্ষুব্ধ বণিক মহল বলছে, সিপিইসি ধরে চিন থেকে পাকিস্তানে কোনও পণ্য নিয়ে আসা যতটা সহজ, পাকিস্তান থেকে কোনও কিছু চিনে নিয়ে যাওয়া ততটাই কঠিন। কারণ চিনা কর্তৃপক্ষের নানা বিধিনিষেধ।

২০১৩ সালে চিন এবং পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছিল। ৪,৬০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে চিন এই করিডর তৈরি করবে বলে স্থির হয়। পরে বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়ে। চিনের কাশগড় থেকে কারাকোরাম হাইওয়ে হয়ে পাকিস্তানের গ্বাদর পর্যন্ত বিস্তৃত ১,৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাই-লেন মহাসড়কটি চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচির অন্যতম প্রধান অঙ্গ। সাম্প্রতিক একটি হিসেব বলছে, সিপিইসি চালুর পরে পাকিস্তানে চিনা পণ্যের রফতানি ৩০ শতাংশ বেড়েছে। অন্য দিকে, পাক পণ্যের চিনে রফতানি কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। ওই মহাসড়কের কাজ চলার সময় পাকিস্তানে নানা পরিকাঠামো উন্নয়নে বিপুল অর্থ ঝণ হিসেবে দিয়েছিল চিন। কিন্তু সড়ক চালু হওয়ার পরে ঋণের পরিমাণ অনেকটাই কমানো হয়েছে। তাই সে দেশের অন্তত ২১টি প্রকল্পের কাজ শ্লথ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement