ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে লিয়োউ ব্যাখ্যা করেছেন, বিস্তর পরিশ্রম ও সংগ্রামের পথ বেয়ে চিনের মানুষ শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। ছবি সংগৃহীত।
কোভিড ভাইরাসের প্রথম সন্ধান মিলেছিল চিনে। নিজেদের দেশে সেই ভাইরাসের মোকাবিলা করার পাশাপাশি অতিমারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ‘দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য বন্ধু’ হিসেবে চিন ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করছে বলে দাবি করলেন কলকাতায় সে দেশের কনসাল জেনারেল ঝা লিয়োউ। তাঁর মতে, করোনা কোনও একটি দেশের নির্দিষ্ট সমস্যা নয়। এই অতিমারি গোটা ‘মানবজাতির শত্রু’।
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কলকাতায় চিনা কনস্যুলেটের আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে লিয়োউ ব্যাখ্যা করেছেন, বিস্তর পরিশ্রম ও সংগ্রামের পথ বেয়ে চিনের মানুষ শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। যে পথ ধরে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি এগোচ্ছে, তাকে ’চিনা বৈশিষ্ট্যযুক্ত সমাজতন্ত্র’ বলা হচ্ছে। চিনের কনসাল জেনারেলের দাবি, তাঁদের দেশ শুধু করোনাকে পরাজিতই করেনি, এর মধ্যেও অর্থনীতির ইতিবাচক গতি অব্যাহত রেখেছে। চিনের করোনা মোকাবিলা প্রসঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছিল অনুষ্ঠানে। লিয়োউ জানান, কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আম্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন-সহ করোনা মোকাবিলার নানা মেডিক্যাল সরঞ্জাম দিয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতা করা হয়েছে। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সময়ে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল সরঞ্জামের যে অভাব দেখা দিয়েছিল, তখনও চিন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। লিয়োউয়ের বক্তব্য, মেডিক্যাল সরঞ্জাম তৈরি করার পাশাপাশিই শুল্ক বিভাগের ছাড়পত্রের ব্যবস্থা এবং জিনিসপত্র পরিবহণেও তাঁরা যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন।
শহরের বেশ কিছু শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম এ দিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।