চিনে করোনার দাপট। আগামী দিনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ছবি রয়টার্স।
করোনার নতুন উপরূপ ‘বিএফ.৭’-এর থাবায় চিনে রেকর্ড হারে সংক্রমণ বাড়ছে! রোজ ১০ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন সে দেশে। ভাইরাসের কারণে রোজ মৃত্যু হচ্ছে ৫ হাজার জনের। লন্ডনের একটি বিশ্লেষক সংস্থার গবেষণার তথ্য মোতাবেক এমন পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি করেছে ব্লুমবার্গ।
লন্ডনের ওই বিশ্লেষক সংস্থা এয়ারফিনিটি লিমিটেডের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, আগামী দিনে চিনের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। করোনার এই নতুন ঢেউয়ে জানুয়ারি মাসে সে দেশে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৩০ লক্ষেরও বেশি। মার্চ মাসে এই পরিসংখ্যান বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪০ লক্ষেরও বেশি।
যদিও শি জিনপিং সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে বুধবার সে দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৬৬ জন। হাসপাতালগুলিতে তিল ধারনের জায়গা নেই। শ্মশানে লম্বা লাইন। যা দেখে কোভিডের সেই ভয়াবহ ছবি ধরা পড়েছে।
করোনা মোকাবিলায় ‘জিরো কোভিড নীতি’ নিয়েছিল জিনপিং সরকার। কিন্তু দেশের নাগরিকদের ক্ষোভের কাছে শেষমেশ এই নীতি নিয়ে পিছু হঠতে হয় প্রশাসনকে। কোভিড বিধি আলগা হতেই সংক্রমণের দাপাদাপি বেড়েছে। বছর শেষের মুখে চিনের এই কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশ্বের অন্য দেশগুলিতেও। করোনার এই নতুন উপরূপের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। হু প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আশা করছি, চিন এ সংক্রান্ত তথ্য দেবে এবং আমাদের সুপারিশগুলি পর্যালোচনা করে দেখবে।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনেই প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কথা প্রকাশ্যে আসে। পরে চিনে কমে যায় ভাইরাসের দাপট। যার দাপাদাপি শুরু হয় ভারত-সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে। কিন্তু চলতি বছরে আবার চিনে করোনার চোখরাঙানি শুরু হয়। যার জেরে ভাইরাসকে ঘিরে আবার উদ্বেগ বাড়ছে।