Coronavirus

বিশ্ব জুড়ে করোনায় মৃত্যু এক লক্ষ ছাড়াল

করোনা-হানায় এই মুহূর্তে সব চেয়ে বিপর্যস্ত আমেরিকার নিউ ইয়র্ক। সেখানকার হার্ট আইল্যান্ডে এখন চলছে গণকবর তৈরির কাজ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ০২:৪৫
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নোভেল করোনাভাইরাসের দাপটে চলছে লকডাউন। ইস্টারের ছুটিটা তাই বাড়ির মধ্যেই কাটাতে হবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। মারণ-ভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ছুটির সপ্তাহান্ত আর আনন্দের ছবি তুলে ধরতে পারবে না, বুঝে গিয়েছেন সকলেই। পোপ ফ্রান্সিস তাঁর লাইব্রেরি থেকে ইস্টারের বার্তা লাইভ স্ট্রিম করবেন। তার আগে তিনি বলেছেন, “বদ্ধ অবস্থায় সৃষ্টিশীল হতে হবে। আমরা অবসাদগ্রস্ত বা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারি… অথবা আমরা সৃষ্টিশীল হতে পারি।”

Advertisement

করোনা-হানায় এই মুহূর্তে সব চেয়ে বিপর্যস্ত আমেরিকার নিউ ইয়র্ক। সেখানকার হার্ট আইল্যান্ডে এখন চলছে গণকবর তৈরির কাজ। মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, অথচ মর্গে দেহ রাখার জায়গা নেই। যে সব দেহের কোনও দাবিদার নেই, সেগুলি যাতে দ্রুত সরিয়ে ফেলা যায়, তার জন্য তৈরি হয়েছে গণকবর। উড়ান থেকে ধরা পড়েছে সেই ছবি।

করোনার জেরে আমেরিকায় এখন কর্মহীন অন্তত ১ কোটি ৭০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ। নাগরিকদের জন্য ২ লক্ষ কোটি ডলারের উপরে আর্থিক ত্রাণ-প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। গত কাল রাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নও ৫০ হাজার কোটি ইউরোর প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সদস্য দেশগুলির জন্য। তবে আমেরিকাই এখন করোনাভাইরাসের ‘হটস্পট’। আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি এখানেই— ৪ লক্ষ ৭০ হাজারের কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। মার্কিন অতিমারি-বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফসি অবশ্য বলেছেন, তাঁদের দেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে। বুধবারের পর থেকে দৈনিক মৃত্যুর হার খুব সামান্য হলেও কমেছে। বৃহস্পতিবার থেকে নিউ ইয়র্কের হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়ার সংখ্যাও কমেছে। গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোর দাবি, যা যা পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাতে ‘সংক্রমণের রেখাচিত্র সরল রাখার’ দিকে এগোনো যাবে।

Advertisement

করোনা-চিত্র

• মৃত ১,০১, ৪৭৪

• আক্রান্ত ১৬,৭৪,৮৫৪

• সুস্থ ৩,৭১,৮৫৮

• বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় শুধু নিউ ইয়র্কে এখন আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি— ১,৬১,৮০৭

• ব্রিটেনে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু— ৯৮০। মৃতের মোট সংখ্যা ৮৯৫৮।

স্পেনে গত ১৭ দিনের মধ্যে গত কাল সব চেয়ে কম সংখ্যক মৃত্যুর খবর মিলেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সাঞ্চেজ়। তাঁর কথায়, “অতিমারি যে আগুন ছড়িয়েছিল, তা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে।” মৃত্যুর হার ৪ শতাংশ কমেছে। সংক্রমণের হারও কিছুটা কমেছে।

ইটালিতে অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত কিছু গোষ্ঠী দরিদ্রদের খাবার বিতরণ এবং সুদ ছাড়া ঋণ দিচ্ছে বলে জানান স্থানীয় লেখক রবার্তো সাভিয়ানো। তাঁর মতে, ওই শ্রেণির মধ্যে প্রভাব বাড়াতে চাইছে গোষ্ঠীগুলো। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৩ হাজারের উপরে। মৃত্যুতে এখনও শীর্ষে (১৮ হাজারের উপরে) এই দেশ। করোনা মোকাবিলায় ৩ মে পর্যন্ত বহাল লকডাউন।

ছন্দে ফেরা চিনে ফের অফিসমুখো হচ্ছেন মানুষ। এই অবস্থায় কর্মস্থলে যাতে কড়া নজরদারি এবং সুরক্ষা বজায় রাখা হয়, তার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে।

ফরাসি নৌসেনার বিমানবাহী জাহাজ শার্ল দ্য গল-এর ৫০ জন কর্মী কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত। তিন জন নাবিককে জাহাজ থেকে বার করে ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর টুলোঁ থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারও পরিস্থিতিই তেমন মারাত্মক নয়। ফ্রান্সে করোনা-হানার পর থেকে এই প্রথম ইন্টেনসিভ কেয়ারে থাকা রোগীর সংখ্যা কমেছে বলে দাবি প্রশাসনের। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ৯৮৭ জন।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement