ছবি: সংগৃহীত।
কোভিড-আক্রান্ত রোগীদের সম্ভাব্য চিকিৎসায় অ্যাসপিরিনকে ব্যবহার করা যাবে কি না, তা খতিয়ে দেখবেন ব্রিটেনের গবেষকরা। এই পেনকিলারের সাহায্যে সংক্রমিতদের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমানো যায় কি না, তা পরীক্ষা করাই গবেষকদের উদ্দেশ্য।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পাশাপাশি ব্রিটেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রায়ালে যুক্ত করা হয়েছে সমস্ত বড় হাসপাতালগুলিকে। র্যান্ডোমাইজড ইভ্যালুয়েশন ফর কোভিড-১৯ থেরাপি বা ‘রিকোভারি’ ট্রায়াল নামেই এই গবেষণায় রয়েছেন সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি চিকিৎসক, নার্স, পরামর্শদাতা, জুনিয়র ডাক্তার এবং সদ্য পাশ করা চিকিৎসকেরাও।
কী কারণে অ্যাসপিরিনের মতো সাধারণ পেনকিলারকে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার কাজে ব্যাবহারের কথা মনে করছেন গবেষকরা? ‘রিকোভারি’ ট্রায়ালের সহ-প্রধান পিটার হর্বির যুক্তি, “কোভিডের চিকিৎসায় অ্যাসপিরিন উপযোগী হতে পারে। তা ছাড়া, এটি সুরক্ষিত, কমদামি এবং সহজলভ্য।”
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতেই ভারতে পাওয়া যাবে করোনার টিকা, দাবি সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও-র
আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে ১ কোটি ৭০ লক্ষ মিঙ্ক মারার কাজ শুরু ডেনমার্কে
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হাইপার রিঅ্যাকটিভ প্লেটলেটের ফলে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। অন্য দিকে, অ্যাসপিরিনের অ্যান্টি-প্লেটলেট এজেন্ট হওয়ায় সংক্রমিতদের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে।
আরও পড়ুন: তৈরি থাকুন পরবর্তী অতিমারির জন্য, বিশ্বকে বার্তা হু-র
ব্রিটেনে এই ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা জানিয়েছেন, অ্যাসপিরিন আদৌ কার্যকর হবে কি না, তা পরীক্ষা করতে অন্তত ২ হাজার কোভিড রোগীকে প্রতি দিন দেড়শো মিলিগ্রামের ডোজ দেওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। সেই পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে আরও ২ হাজার এমন কোভিড রোগীর চিকিৎসার তুলনা করা হবে, যাঁদের করোনা সারাতে অ্যাসপিরিন দেওয়া হয়নি।
অ্যাসপিরিনের দৈনিক ব্যবহারে বেশ কয়েক ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমালেও তা রক্তক্ষণের ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এমনকি, তাঁদের মতে, এর নিয়মিত সেবনে কিডনির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।