প্রতীকী ছবি।
করোনা-আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে ১৫ মিনিট থাকার পরেও যদি অন্য জনের শরীরে উপসর্গ না দেখা যায়, তবে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানাল আমেরিকার সেন্টার্স ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
সিডিসি-র এমন ফতোয়ায় প্রবল দুশ্চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, এ ভাবে উপসর্গবিহীন রোগীর সংক্রমণ ছড়ানোর পথই প্রশস্ত হল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য গোড়া থেকেই বলছেন, আমেরিকায় এত বেশি করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার একমাত্র কারণ বাকি দেশগুলির তুলনায় বেশি পরীক্ষা করা। সিডিসি এর আগে বলেছিল, করোনা সংক্রমিত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেই দ্বিতীয় জনের করোনা-পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। কারণ, দেশের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কোভিড রোগীই উপসর্গবিহীন। ফলে তাঁদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধ করতে হলে পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সিডিসি-র বর্তমান নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, ‘‘কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির ৬ ফুটের মধ্যে ১৫ মিনিট থাকার পরেও উপসর্গ না থাকলে করোনা-পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। যদি না সেই ব্যক্তির শারীরিক সমস্যা থাকে বা চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে করোনা পরীক্ষা করতে বলেন।‘‘ স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ কর্তারা জানাচ্ছেন, অ্যান্টনি ফাউচি-সহ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরেই এই নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে। যদিও ফাউচি জানিয়েছেন, নয়া নির্দেশিকার বিষয়ে কিছুই তিনি জানেন না। কারণ গত বৃহস্পতিবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ছিলেন। ফাউচি বলেছেন, ‘‘এই নির্দেশিকার কী ব্যাখ্যা করতে পারেন মানুষ, তা ভেবেই চিন্তা হচ্ছে। এতে উপসর্গবিহীন সংক্রমণ নিয়ে ভুল ধারণা ছড়াবে।’’
বিশ্বে করোনা
মৃত: ৮,৩৩,১৪৫
আক্রান্ত: ২,৪৫,৩৩,৩৪২
সুস্থ: ১,৭০,০০,৫৬৭
রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে করোনা-ত্রাসে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে বিশ্বের মোট স্কুলপড়ুয়াদের এক-তৃতীয়াংশ প্রযুক্তির সাহায্যে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। বিশেষত, সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাংশে, আফ্রিকার দেশগুলিতে প্রযুক্তির নাগাল না পাওয়ায় অললাইন ক্লাসের সুযোগ নেই অন্তত ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়ার। করোনায় কর্মহীন হয়ে আমেরিকায় বেকারত্বের সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন আরও ১০ লক্ষ।